বিদেশে টেরাকোটা টাইলস রপ্তানির নাম করে ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকা বিল নিয়ে চলে গেছেন দুবাই।
এখন সেখানে ব্যবসা করছেন। নির্মান করেছেন রাজকীয় বাড়ি। দেশের ব্যাংক থেকে মানুষের আমানতের টাকা লুট করে দুবাই পালিয়ে গিয়ে এখন সেখানে রাজার হালেই আছেন শাহজাহান বাবুল।
দেশে পুলিশের খাতায় তার নাম উঠেছে পলাতক আসামি হিসেবে আর বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় তিনি শীর্ষ ঋনখেলাপি। তবে তার জীবন কাটছে দেশের সাধারন মানুষের টাকায় ভোগ বিলাস করে।
তবে তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করা ছাড়া আর কিছুই করেনি সরকারি কোন সংস্থা। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি দেয়ার কোন উদ্যোগও কেউ নেয়নি। ফলে নির্বিঘ্নেই কাটছে তার জীবন।
স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি নিজেই তার রাজকীয় বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ছবি প্রায়শই শেয়ার করেন।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের তদন্তে উঠে আসে যে বাজারমূল্যের চাইতে অতিরিক্ত দাম দেখিয়ে টাইলস রপ্তানি করছেন বাবলু। তবে সেই রপ্তানির টাকা দেশে আসছেনা। উপরন্তু ওই রপ্তানি বিল ক্রয় করে বাবলুকে ১৯০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে কমার্স ব্যাংক।
ঘটনা ফাস হওয়ার পর তিনি টেরাকোটা টাইলস উৎপাদনের ব্যবসা বন্ধ করে দেশ ছেড়ে পালান। তবে এখনো তার প্রতিষ্ঠানের নামে মাঝে মধ্যে অল্প পরিমান সার আমদানি হয় বলে জানান কমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
দেশের টাকা লুট করে বর্তমানে দুবাই ও সিংগাপুরে অন্তত ৫টি ব্যবসা করছেন তিনি। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম “এসবি পুন্য গ্রুপ”।
ঘটনার সংগে জড়িত থাকার অভিযোগে সে সময় কমার্স ব্যাংকের ১১ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো তবে এখন তারাও বহাল তবিয়তে চাকরি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর হলেন কমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আর কিউ এম ফোরকান, বর্তমান উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) কাজী রিয়াজুল করিম, ট্রেজারি বিভাগের প্রধান মো. কামরুজ্জামান, প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ শাখার ব্যবস্থাপক হাসান ফারুক, ঢাকার মৌলভীবাজার শাখার অপারেশন ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, দিলকুশা শাখার ব্যবস্থাপক ফকির নাজমুল আলম ও অপারেশন ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিনুজ্জামান, মিসেস ফারহানা রাজ্জাক ও জামাল হোসেন।
Add Comment