অসহায় ও দুস্থ ব্যাক্তিদের আপদকালীন সময়ে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য চালুকৃত সরকারি কলসেন্টারে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন কোটিপতি এক ব্যাক্তি! যিনি চারতলা একটি বাড়ি সহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাকে খাদ্য পৌছে দিতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন ইউএনও। পরে তাকে খাদ্য সহায়তা না দিয়ে উল্টো জরিমানা করা হয়।
জরিমানা হিসেবে তাকে সরকারি খাদ্য সহায়তার মতো করে মোট ১০০ জন ব্যাক্তিকে খাদ্য অনুদান দিতে হবে। যার প্রতি বস্তায় থাকবে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ডাল, লবন, পিয়াজ ও সয়াবিন তেল। যার প্রতি বস্তার মূল্য ৮০০ টাকারও বেশি। অতএব ১০০ জনকে এই পরিমান খাদ্য দিতে খরচ হবে ৮০ হাজার টাকা।
ঘটনাটি ঘটেছে নারায়নগন্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে।
গতকাল ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চান ঐ ব্যাক্তি। পরে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য তার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জানা যায় যে ফোন দেয়া ব্যাক্তিটি অসহায় কেউ নন বরং যথেস্ট ধনী ব্যাক্তি। যিনি চার তলা একটি বাড়ি সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।
বিষয়টি জানতে পরে তার খাদ্য সহায়তা বাতিল করে তাকে উল্টো জরিমান করেন নারায়নগন্জ সদর উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা।
তিনি বলেন, এই ব্যাক্তি কেন এমন করেছেন তা আমার জানা নেই তবে ধারনা করা হচ্ছে তিনি দুষ্টমি করে এমনটি করে থাকতে পারেন।
এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ যেন দুষ্টমি না করে সেই আহবান জানিয়ে তিনি বলেন। এটি অসহায় মানুষদের সেবা দেয়ার একটি কার্যক্রম। এখানে দুষ্টমি করলে স্বাভাবিক খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হতে পারে। অনেক সময় এদের জন্য প্রকৃত অসহায় মানুষ সহায়তা পায়না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Add Comment