গত ৮ বছরে বাংলাদেশের ঋন পরিশোধের সক্ষমতা কমেছে দ্বিগুনেরও বেশি!
অর্থ্যাৎ আগে বাংলাদেশ ঋন নিলে যতখানি পরিশোধ করতে পারতো এখন তার অর্ধেকও পরিশোধ করতে পারছেনা!
ফলে বকেয়া ঋনের পরিমান দিন দিন আশংকাজনক হারে শুধু বৃদ্ধিই পাচ্ছে!
সরকারিভাবে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করা হলেও বিদেশি ঋণ নেওয়া, মাথাপিছু ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়া আর প্রতি বছর ঋণ পরিশোধের অক্ষমতা বৃদ্ধির ঘটনাগুলো একরকম লুকিয়ে রাখা হয় বলা চলে।
বর্তমান সরকার ২য় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সাল থেকে আর্থিক অস্থিরতা চরম আকার ধারন করেছে।
– ৮ বছরে নেট বিদেশী ঋণ বেড়েছে প্রায় ২০ গুন,
– ৮ বছরে মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে ১৮.৫০ গুন,
– ৮ বছরে, বছর শেষে মোট ঋণের বকেয়া অংশ ৪১% থেকে বেড়ে এখন হয়েছে ৮৭%!
প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার নীট বিদেশি ঋণের মাইলফলক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ!
৮ বছর আগে যেখানে বাংলাদেশ এক বছরেই তার বিদেশী ঋণের ৫৯.০৫% পরিশোধ করেছিল, কমতে কমতে এ বছর সেই বিদেশী ঋণর মাত্র ১২.৮৮% পরিশোধ করতে পেরেছে।
ঋণ পরিশোধের এই আশংকাজনক ক্রমবর্ধমান অক্ষমতা অর্থনীতিবিদদের ভাবিয়ে তুলছে।
এছাড়া মুদ্রাপাচার, অপ্রয়োজনীয় আমদানি ও সরকারি প্রকল্পে কল্পনাতীত দূর্নীতি ও অপচয়ের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও গর্ব করার মত অবস্থানে নেই।
অবশ্য গর্ব করার মত অবস্থানে না থাকলেও সরকার, তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবি(!) ও বেশ কিছু গনমাধ্যম রিজার্ভ নিয়ে মিথ্যা গর্ব করে।
একথা সত্য যে বিগত সরকারগুলোর তুলনায় বর্তমান সরকারের আমলে রিজার্ভ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে তবে এটা আরো বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিলো, যা লুটপাট ও অপচয়ের কারনে হয়নি।
পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আগেই লোক দেখানো গর্ব করা বাদ দিয়ে সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিবে বলে করছেন সবাই।