মন্চে জায়গা না পেয়ে নিচে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিজয় শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
নতুন ও স্থানিয় নেতাদের নেতাদের ভিড়ে ট্রাকের অস্থায়ী মঞ্চে না উঠেই বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রার উদ্বোধন করলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় র্যালি শুরু হওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ উপলক্ষে একটি ট্রাকে প্যান্ডেল বানিয়ে মঞ্চ করা হয়। ট্রাকের দুই দিকে দুটি মাইক লাগানো হয়।
দুপুর ১টার পর ট্রাকে উঠতে শুরু করেন নবীন নেতারা। ছোট ট্রাকে নেতাদের ভিড়ে সিনিয়র নেতারা উঠার জায়গা পাচ্ছিলেন না। একপর্যায়ে সিনিয়র নেতারা মন্চের নিচে দাড়িয়েই বক্তব্য রাখা করেন কিন্তু তাবুও কেউ তাদের মন্চে উটার জায়গা দেননি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান কার্যালয়ের নিচতলায় অবস্থান করছিলেন। মঞ্চে নবীন নেতাদের ভিড় দেখে তারা খবরও পাঠান মঞ্চ খালি করতে। কিন্তু দেখা গেল খালি না করে বরং উল্টৌ আরো নতুন নেতারা নেতারা ট্রাকে উঠছেন, সঙ্গে কর্মীরাও উঠছেন।
ট্রাকে নবীন নেতাদের ভিড়ে দেখা যায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুকে বসতে দেয়ার জন্য চেয়ার ছাড়ছিলেন না কেউ। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও বসার চেয়ার না পেয়ে অনেকক্ষন দাড়িয়ে থাকেন তিনি, তবুও কেউ তাকে বসার সুযোগ দিচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে তিনি সেখান থেকে চলে যেতে নিলে চেয়ারে বসা এক নবীন নেতা উঠে তাকে বসার জায়গা করে দেন। জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন দাঁড়িয়ে থাকেন। সিনিয়র নেতাদের দাড় করিয়ে রেখে চেয়ারে বসে ছিলেন নতুন একাধিক নেতা।
এরকম অবস্থা দেখে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, “ওরা তো নামছে না। এত ভিড়ে উপরে উঠার প্রয়োজন নেই। চলেন আমরা নিচেই দাঁড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করি। ওরা অন্তত শরম পাক। মনে হয় ভদ্রতাও শিখেনি”
পরে ২টা ৫০ মিনিটে মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মঞ্চে না উঠে ট্রাকের সামনে এসে দাঁড়ান। সেখান থেকে তারা বক্তব্য দিয়ে র্যালির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশের সভাপতি বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল ট্রাকেই ছিলেন। মহাসচিব তাকে অনুষ্ঠান শুরু করতে বলেন।
ওই ট্রাকে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুস সালাম আজাদ, হারুনুর রশীদ, শামীমুর রহমান শামীম, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, মহানগরের কাজী আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল এবং যুব দল ও উলামা দলের নেতারা।
Add Comment