নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি যদি একাও হই তারপরও সত্যবচন থেকে কেউ সরাতে পারবে না। আমি সাহস করে সত্য কথা বলব। সত্য বলার জন্য জেলে যেতে হলে যাব। সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ২টায় নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি। লাইভটি কাদের মির্জার ফেসবুকে ট্যাগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের কোটি কোটি টাকা দিয়ে আমাকে, আমার ছোট ভাই শাহাদাত এবং ছেলে তাশিককে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী-নিজাম হাজারীর অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে সর্বশক্তি ও অর্থ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে সবাই। এই পর্যন্ত আমি ছয়বার আক্রান্ত হয়েছি।
কাদের মির্জা বলেন, আমার মন অত্যন্ত ভারাক্রান্ত। গত তিন মাস পর্যন্ত আমার ওপর একতরফা অত্যাচার চলছে। আমি যখন অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পরিবর্তনের কথা বলেছি, টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তখন থেকে আমার ওপর নির্যাতন বেড়েই চলছে।
তিনি বলেন, আমার পৌরসভায় দুই হাজার রাউন্ড গুলি করেছে। দুই দিন আগে প্রকাশ্যে এখানে (পৌরসভায়) এসে সবুজ, রুমেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। আমার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমার ভাই শাহাদাতকে বোমা মেরে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। আমি ও আমার পরিবারকে শেষ করে এখানে রাজত্ব কায়েম করতে চায় একরাম ও নিজাম হাজারী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গুলি করে ও পিটিয়ে জখমের ঘটনা ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, পূর্বের দেনা-পাওনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরীর ওপর হামলা হয়েছে। আমার ওপর এই ঘটনা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য, আমার কর্মীদের দোষারোপের জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকায় সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরনবী চৌধুরীকে গুলি করে ও পিটিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান এ হামলার জন্য বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার সন্ত্রাসীদের দায়ী করেন।
Add Comment