বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সিমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম। জেলাটির সাথে ভারতের প্রায় ৩০০ কিলোমিটারের মতো সিমান্ত রয়েছে। সিমান্ত দিয়ে অবৈধ পন্য ও মাদকদ্রব্য পাচারের বিষয়টি পুরানো এবং সবার জানা থাকলেও নতুন একটি বিষয় নিয়ে অভিযোগ দেখা দিয়েছে। আর অভিযোগটি হলো, নিজেদের দেশের পাগল ও মানসিক ভারসাম্যহীনদের গোপনে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছে ভারতিয় সিমান্তরক্ষি বাহিনী বিএসএফ!
বিএসএফ এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করছে বলে কুড়িগ্রামের স্থানিয়রা অভিযোগ করে বলেন, যখন বিজিবি থাকেনা তখন বিএসএফ গেট খুলে অথবা কালভার্টের নিচ দিয়ে এসব পাগলদের জোর করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। অনেক সময় পাগলেরা ঢুকতে না চাইলে তাদের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বলে জানান স্থানিয়রা।
সাধারনত মধ্যদুপুরে অথবা সন্ধ্যাবেলা বিএসএফ এই কাজটি করে থাকে যা অনেকসময় দুর থেকে লুকিয়ে দেখেছেন বলে জানান স্থানিয়রা।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠ্যাৎ হঠ্যাৎ এমন অনেক লোককে দেখা যায় যাদেরকে জীবনে আগে কখনো দেখেননি স্থানিয়রা। চেহারা দেখতে বাংলাদেশিদের মতো হলেও তাদের কথা শুনলে ভাষা ও উচ্চারনের ভিন্নতা দেখে বোঝা যায় যে এরা বাংলাদেশি নয় বরং ভারতীয়।
এসব পাগলেরা পরে সারা জেলা, এমনকি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে ঝুকি সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকসময় এরা ক্ষুদা পেলে বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে খাবার চুরি করে খায়, শিশুদের মারতে আসে এবং বিভিন্ন জিনিষ নষ্ট করে। ফলে এদের উৎপাতে স্থানিয়রা বিরক্ত।
এসব পাগলেরা অনেক সময় নিজের গায়ে নিজেই আগুন লাগিয়ে দেয়! ফলে যেকোন সময়ে প্রানহানি বা বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আংশকা স্থানিয়দের।
তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে আবার অনেকে এদের স্বেচ্ছায় খাবার দেন।
এদের বিষয়ে দ্রুত সুরাহা করতে ও সিমান্তে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন স্থানিয়রা।
এবিষয়ে দেশের একটি শীর্ষ পর্যায়ের মিডিয়াকে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে এনিয়ে তদন্ত করে দেখতে বলেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে আমরা বিষয়টি সরকারকে বিস্তারিত জানাবো।
Add Comment