মানবদেহের জন্য কোলাজেন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ন উপাদান। এর নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো এটি যৌবন ধরে রাখতে সহায়তা করে ও শরীরে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেহে এই প্রয়োজনীয় উপাদানটির উৎপাদন কমতে থাকে। ফলে বেশি বেশি কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে দেহে এর যোগান ঠিক রাখতে হয়। তবে কোন কোন খাবারে বেশি বেশি পরিমান এই উপাদানটি পাওয়া যায় তা অনেকেই জানেননা। এখানে আমি কোন কোন সহজলভ্য খাবারের মাধ্যমে আপনাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় কোলাজেন পেতে পারেন তার একটি তালিকা তুলে ধরেছি।
বেশি পরিমান কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার
* শশা
* পালংশাক
* বাঁধাকপি
* শালগম
* শিম
* টমেটো
* লেবু
* আমড়া
* গাজর
* আম
* কমলা
* ঘৃতকুমারী
* লাল মরিচ
* গরুর মাংস
* মুরগির মাংস
* ডিম
* কাঠবাদাম
* মিষ্টি আলু
* কলিজা
* বাদাম
* ডাল
* সামুদ্রিক মাছ
* পেঁপে
* পেয়ারা
* নারকেল
* কাঁঠাল
* আম
* লিচু
* আনারস
* কামরাঙা
* রসুন
* ধনেপাতা
* ড্রাগন ফল
* বেরি
* জিংসেং
* ব্রকলি
* কোকো পাউডার
* ডার্ক চকলেট
* ঝিনুক
* অ্যাভোকেডো
* টফু
উপরে উল্লেখিত প্রায় সবগুলো খাবারই আমাদের দেশে সহজেই পাওয়া যায়। নিয়মিত এসব খাবার খেলে আপনার দেহের কোলাজেনের চাহিদা পুরন হবে। এছাড়াও কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার এর আরো কিছু সহজ উৎস নিচে তুলে ধরছি:
* ভিটামিন সি: যেসব খাবারে ভিটামিন সি রয়েছে সাধারনত সেসব খাবার খেলে দেহে কোলাজেন সৃষ্টি হয়। প্রায় সব ধরনের ভিটামিন সি জাতীয় খাবার কোলাজেনের ভালো উৎস।
* ভিটামিন এ: ভিটামিন এ হলো কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবারের অন্যতম উৎস। নিয়মিত ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেলে তা শরীরে অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি কোলাজেন তৈরি করতেও বিরাট ভূমিকা রাখে।
* ভিটামিন ই: ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারও কোলাজেনের ভালো উৎস। তাই নিয়মিত ভিটামিন ই জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখুন।
* হাড়ের রস: হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল ইত্যাদির হাড়ের ভিতরের অংশের রস কোলাজেনের একটি বড় উৎস। তাই মাংস রান্নার সময় সাথে হাড় দিয়ে রান্না করুন। এতে মাংসের ঝোলে হাড়ের ভিতরের উপাদানগুলো মিশে যাবে। চাইলে হাড় জ্বাল দিয়ে হাড়ের স্যুপ তৈরি করেও খেতে পারেন।
উপরে উল্লেখিত খাবারগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমান কোলাজেন। নিয়মিত এসব খাবার খেলে তা আপনার শরীরে দ্রুত বার্ধ্যক্যের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করবে। বর্তমানে রুপচর্চার জন্য অনেক ক্রিম ও প্রসাধনীতে কোলাজেন ব্যবহার করা হয়। এছাড়া খাদ্য সম্পুরক হিসেবে পিল বা ক্যাপসুল রুপেও এটি বিক্রি হয়। তবে শরীরের বাইরে থেকে প্রসাধনী বা ক্যাপসুল ব্যবহার করে খুব বেশি একটা ফল পাওয়া যায়না বরং প্বার্শ পতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে নিয়মিত উপরে উল্লেখিত খাবার খেলে শরীরের ভিতর থেকে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদান দেহে সরবরাহ করে যা অধিক কার্যকর।
স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো বিভিন্ন তথ্যবহুল লেখা পড়তে “স্বাস্থ্য” ট্যাগে প্রবেশ করুন।
Add Comment