Home » ৫টি দারুন হাসির গল্প
নিবন্ধ

৫টি দারুন হাসির গল্প

হাসি, হাসির গল্প

হাসির গল্প পরতে সবারই ভালো লাগে । ২ মিনিট সময় দিয়ে পড়েই দেখুন, আশা করি অবশ্যই ভালো লাগবে । আমরা এখানে আপনাদের জন্য ৫টি দারুন হাসির গল্প তুলে ধরেছি । এই হাসির গল্প গুলো পড়লে হাসি আসতে বাধ্য । চলুন তবে শুরু করা যাক ।

হাসির গল্প – আচঁল

মেয়েটার শাড়ি ধরে টান দিয়ে বুঝেছি এ আসলে মেয়ে না, এ হলো হিজড়া। ও আমার দিকে ফিরে তাকানোর আগ অব্দি যদি জানতে পারতাম! কসম খোদার, ওর শাড়ি টানা তো দূরে থাক ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখতাম না। সুন্দরী মেয়ে ভেবে শাড়িটা একটু টান মেরেছিলাম । আসলে এত সুন্দর করে দাড়িয়েছে যে, পিছন থেকে দেখে বুঝতেই পারিনি ।

ঠিক সেই মূহর্তে মনে পরে গেল দাদার কথা। দাদা একদিন ট্রেনে করে যাচ্ছিলো। সাথে ছিলাম আমি। দাদাকে আমরা খুব ভয় পেতাম। ভাব গাম্বীর্যে ঠাসা ছিলেন তিনি। সে লোকটার সামনে আধো মেয়ে আর আধো ছেলের একটা দল সে দিন এসে দাঁড়ালো। চেহারায় তাকিয়ে পুরুষ মনে হলো। বুকের দিকে তাকিয়ে দেখি ব্লাউজ পরা।
দাদাকে বললো, ভাইয়া, দশ টাকা বের করো।
আমার দাদা বলল, যাও, মাফ কর। হবে না।
মেয়ে রুপি ছেলেটা ঠোটে একটা কামড় দিয়ে আমার দাদার কাঁধে একটা হাত দিয়ে শরীরটা সাপের মতো বাঁকিয়ে বলল, আমার কিন্তু হবে, তুই বললেই হবে। কি, হওয়াবো?
দাদা কাঁধে রাখা হাতটা ঝেরে ফেলে দিয়ে বকা দেবার মত করে বলল, থাপড়িয়ে দু পাটি দাঁত ফেলে দেব, বেয়াদব কোথাকার?

মেয়ে রুপি ছেলেটা এবার নিজের মুখের কাছে হাত নিয়ে সালাম দেওয়ার স্টাইলে বলল, আদাব স্যার আদাব।
এবার গায়ে কোনো মতে লটকে থাকা শাড়িটা খুলে সুন্দর করে ভাঁজ করে আমার দাদার কোলে রাখলো। নিচে হলো একটা সায়া। উপরে ব্লাউজ। পেটটা খালি। নাভিতে একটা রিং লাগানো।
বলল, টাকা দিবি, না সব খুলে তোর হাতে দিব?
ভয়ে আমি দাদাকে বললাম, দাদা, দিয়ে দাও না দশ টাকা!
দাদা আমার গালে একটা চড় বসিয়ে বলল, চুপ থাক। আমি ওকে কোনো টাকা দিবো না।
হিজড়াটা হাতে একটা তালি দিয়ে বলল, দিবি না টাকা না? ঠিক আছে, তোর থেকে আমি টাকা নিবো না। বিনিময়ে একটা কিস নিবো শুধু !
আমার দাদা বয়স্ক মানুষ । তখনো কিস শব্দটির সাথে পরিচিত ছিলেন না বোধ হয়। ছিলাম না আমিও। আমি কপাল ভাঁজ করে বসে আছি। দাদা কপাল ভাজ করে বললেন, এটা আবার কি?

এবার আমার দাদার দুটো বাহু শক্ত করে ধরলো। দাদা ওকে একটা ঝাড়া দিলেন। কিন্তু কিসের কি, কিছুই হলো না। দাদাকে ট্রেইনের সিটের সাথে জোরে চেপে ধরলো। মাথার সাথে মাথা লাগিয়ে যখন ঠোটে ঠোট ছোঁয়াবে তখন পা দিয়ে ওর আসল জায়গায় একটা লাথি মারলেন। ও সামান্য কোত করে উঠে আরো জোরে আমার দাদার দু ঠোটে ওর লাল ঠোট দুটো ডুবিয়ে দিলো।
আমি লজ্জায় ভয়ে মাথা নিচের দিকে করে বসে থাকলাম। নিচের দিকে তাকানোর আগে দেখলাম আশপাশের লোকগুলো লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। দাদা নিজেকে ছাড়ানোর খুব কসরত করছে। তাদের দু জনের শরীরের ধাক্কায় আমি জানালার সাথে একটা বাড়িও খেলাম। কিছুক্ষণ পর বদমাইশটা উঠলো।

আমি আর ওর দিকে তাকাই নি। ও খিস্তি করে বলে যাচ্ছে, দশ টাকা না, আজকে হাজার টাকা কামিয়েছি। ভালোই করলি টাকা না দিয়ে। টাকা নিলে আমারই লস হতো। খুব মজা পেয়েছি !

ওকে ফিরিয়ে দাদা আর কোনো কথা বলে নি। ও চলে যাবার পর থেকে দাদা যে মাথা নিচু করেছে নামার আগ অব্দি সে মাথা আর উঠোয় নি। আশপাশের লোকগুলো নানান কথা বলল। কিন্তু দাদা একদম চুপ। একবার শুধু আমাকে খুব নরম সুরে বলল, বাড়িতে গিয়ে কাউকে বলিস না, আমি রোজ তোকে আইসক্রিম খাওয়াবো। অন্য সময় হলে প্রস্তাবটা পেয়ে বেজায় খুশি হতাম। কিন্তু আজকে হলাম না। কারণ আমার কাছেও বিষয়টা খারাপ লেগেছে।

যাগ্গে যেটা বলছিলাম, আমি আসলে মেয়ে ভেবেই সুন্দর শাড়ি পরা এঁকেবেঁকে কোমর দুলিয়ে চলা নারী মূর্তিটির পিছু নিয়ে ছিলাম। ওর কোমর দুলিয়ে হাঁটাই আমার মগজে বাজে ভাবে আঘাত করেছে। আমাদের গাঁয়ে এভাবে হাঁটতে কাউকে দেখিনি। তাই সতর্কতার সাথে পিছু নিয়ে যখন একটু গাছগাছালিতে ছাওয়া জায়গায় এলো তখন আমি পেছন থেকে বাতাসে উড়তে থাকা শাড়ির আচঁলটা ধরে একটা টান দিলাম।

ভেবেছিলাম ভদ্র মেয়ে হলে মুখ দেখেই সন্তুষ্ট থাকবো। আর বলব, এই, অভদ্রের মতো এমন করে হাঁটছো কেন, ভালো করে হাঁটতে পারো না? এ বলে মাটির উপর একদলা থুথু ফেলে হেঁটে চলে যাবো। আর যদি আমার মতো হয় তাহলে তো কেল্লা ফতেহ।
তৃতীয় কোনো চিন্তা আমার মাথার আশপাশ দিয়েও ছিলো না। থাকলে সেটা নিয়ে ভালো করে চিন্তা করে একটা সমাধান বের করা যেতো। কিন্তু যতক্ষনে তৃতীয় বিষয়টা সামনে চলে এলো ততক্ষনে না আছে ভাবার সময় আর না আছে দৌঁড় দিয়ে পালানোর সময়। খপ করে আমার কলার চেপে ধরে প্রায় চ্যাংদোলা করে বলল, কিরে, তুই আমার আঁচল ধরলি কেন?
আমি একটা ঢোক গিলে বললাম, না মানে, আচঁলটা বাতাসে নিয়ে যাচ্ছিলো, আমি সেটাকে ধরলাম আরকি । অন্য কিছু না।
এ “অন্য কিছুনা” শব্দটাই আমার বিপদের কারণ হলো। আমাকে আরো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো। বলল, অন্য কিছু না মানে ? অন্য কিছু কি হতে পারে? আচঁল ধরার মধ্যে অন্য কিছুও কি হতে পারে?
এবার আমার কলার ছেড়ে ছোট খুকির মত আমার বুকে দু হাত দিয়ে কিলাতে কিলাতে বলল, এই বল না, বল না, অন্য কিছু কি?

আমি প্রায় কেঁদে দিয়ে মুখে সামান্য হাসির ছাপ এনে বললাম, বিশ্বাস কর, অন্য কিছুই না। তা ছাড়া আমি জানি ও না, অন্য কিছু কি ? মাত্র কয়েক দিন আগে আমার মা আমার ফিডার বন্ধ করেছে। কিইবা জানবো আমি?

এবার ও মুখের মধ্যে একটা পাষন্ডের ভাব এনে আমার গালে একটা চড় দিয়ে বসলো। তারপর সেখানে হাত দিয়ে আদর করে বলল, ব্যাথা পেয়েছিস রে, জোরে মেরে ফেল্লাম তোকে, না?
না, তোকে জোরে মারা ঠিক হয় নি। তোকে আমার মনে ধরেছে। তোকে আমি নিয়ে যাবো। সংসার করবো। তোকে নিয়ে সংসার করতে মজা হবে। কারণ তুই কিছুই জানিস না। এবার আমার থুতনিতে আদর করে বলল, কিরে, সংসার করবি আমার সাথে?
আমার তো মাথা চক্কর দিতে শুরু করলো। যদি সত্যি ও আমাকে তুলে নিয়ে যায়, আমাকে ওর “বউ স্বামী” করে রাখে!

মনে মনে দোয়া ইউনুস পড়তে লাগলাম। বিপদ মুক্তির জন্য। আমাদের যে সমাজ, একবার কোনো মতে যদি মানুষের কানে যায় আমি কোনো হিজড়ার “বউ স্বামি” তাহলে শুধু আমাকে না, আমার চৌদ্দ প্রজন্মকে এ কথা বলে জালাবে। খোঁচাবে।

আমি যখন এ সমস্ত ভেবে ঘাম ছাড়ছি তখন দেখি ও আরো রোমান্টিক হয়ে উঠেছে । আরো আবেগ নিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরছে। আমার পিঠ হাতাচ্ছে। কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে নাকে নাক ঘসে আরো নিচের দিকে নামছে। আমার চোখে স্পষ্ট ভেসে উঠলো আমার দাদার কথা। এখন কি ও আমার ঠোটেও ঠোট ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে?
কেউ দেখে ফেললে আর রক্ষে নেই। গ্রাম ছাড়া হতে হবে।
আমি লক্ষ করলাম, ও আমাকে জড়িয়ে ধরেছে ঠিক তবে ওতো জোরে ধরে নি। হালকা ভাবেই ধরেছে। ইচ্ছে করলেই আমি ওকে ধাক্কা দিয়ে চলে যেতে পারি। যে ভাবা সে কাজ। একটা ধাক্কা দিয়ে আমি দৌঁড় দিলাম। ও পড়ে গেল। পড়ে গিয়ে না উঠেই আমাকে ধরতে হাত ছুঁড়লো। আমার কি কপাল। ওর আঙ্গুলে আমার লুঙ্গির কোনা আটকে গেল।

এখন আমার সামনে দুটো বিষয়, হয় লুঙ্গি সামলাতে দাঁড়িয়ে থাকবো না হয় লুঙ্গি রেখেই পালাবো। নিচ থেকে ও লুঙ্গি টানছে। আমি উপরের গিট খুলে দিয়ে দিলাম একটা ছুট, এক বারের জন্যও পেছনে তাকালাম না। এখন আমার উপরে শুধু একটা ছোট-পাতলা সেন্টু গেন্জি আর নীচে সম্পূর্ন খালি । আধা মাইলের মতো দৌঁড়ে আসলাম। পথে কাউকে দেখিনি। নিরাপদেই আসলাম। একটা পুকুরের কাছে আসতেই দেখি আমার জানপাখি লাবনী ওর বান্ধবীদের নিয়ে কথা বলতে বলতে সামনের দিক থেকে আসছে।
ইজ্জত বাচাতে আগ পিছ না ভেবে দিলাম ঝাপ।
ওরা একজন আরেক জনকে বলছে, এই, কেরে পড়লো পানিতে? ল্যাংটা ছিলো না ছেলেটা?
লাবনী বলল, আমার কাছে তাই তো মনে হলো। কে ছেলেটা, আগে দেখতে হবে।
ওরা পাড়ে আসতেই বললাম, হায় লাবনী, স্কুল থেকে ফিরছো না?
হু, ফিরছি, কিন্তু তুমি এই ময়লা পুকুরে নামলে কেন?
আরে গরম, গরম, গরমের জ্বালায় থাকা যায় না। অতিষ্ট হয়ে গেলাম। পানিতে না পড়লো এতক্ষনে মরেই যেতাম। তো, পড়ালেখা কেমন চলছে?
আমার কথার কোনো উত্তর দিল না। সবাই চাপা কন্ঠে কি যেন বলাবলি করছে। আমি বললাম, কি, তোমরা নিজেদের মধ্যে কি বলাবলি করছো?
লাবনী গলা পরিষ্কার করে বলল, রেজা, মায়ের কাছে শুনেছি, ছোট কালে তুমি নাকি পানিতে নামলেই কাথা সেলাই করতে।
আজকালকার ছেলে মেয়েরা পানিতে এখন আর কাথা মাতা সেলাই করে না। আজকে তুমি একটু সেলাই করো দেখি!
বলেই সবাই খিট খিট করে হেসে দিল।

আমার মাথায় তো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। কি বলে এসব ?
আমার নিচে কিছু পরা আছে কি নেই সেটা যাচাই করতেই এ ফন্দি এঁটেছে। পানির মাঝখানে সাঁতার কাটতে কাটতে নিজেকে পানির মধ্যে ভাসিয়ে রেখে বললাম, কাথা এখন আর কেউ সেলাই করে না। সবাই কম্বল গায়ে দেয়। সুতরাং এ সেলাই দেখার দরকার নেই। তোমরা দ্রুত বাড়ি যাও। আজকে দেখাতে পারবো না। এ বলে একটা ডুব দিয়ে পাড় থেকে আরো দূরে চলে গেলাম।

এ সময় লাবনী নিলীমাকে বলল, মনে করে দেখতো, সত্যি কি তুই ওকে ল্যাংটা দেখেছিস ?
নিলীমা বলল, আরে বাপ, বললাম তো, কিছু বুঝে উঠার আগেই পানিতে ঝাপিয়ে পড়েছে।
নিলীমা বলল, চল, বাড়ি চল, ও কেমন ছিলো সেটা জেনে আমাদের কি লাভ, থাক না?
এ সময় দেখলো তাদের বিপরীত দিক থেকে একজন মহিলা একটা লুঙ্গি উচিয়ে চিৎকার করতে করতে দৌড়িয়ে তাদের দিকে আসছে। কাছে আসতেই বুঝলো, এ মহিলা না, এ হলো হিজড়া। লুঙ্গিটা ওদের দেখিয়ে বললো, এই লুঙ্গি ছাড়া একটা ল্যাংটা ছেলেকে দেখেছিস? মিথ্যে বললে কিন্তু তোদের পানিতে ফেলে দিবো !

আমি মাথা পানিতে ডুবিয়ে দু হাত জোড় করে আমার কথা না বলার জন্য ইশারা করলাম। কিন্তু ওরা শুনলো না। আমাকে দেখিয়ে দিল। দেখা মাত্রই ও পানিতে ঝাপিয়ে পড়লো। মেয়েগুলোকে দেখলাম চিৎকার করে মানুষ জড়ো করতে। আর আমি শরীরের সব শক্তি দিয়ে পাড়ে উঠার চেষ্টা করলাম। আমার কাছে আসার আগেই আমি পাড়ে উঠে আবার দৌঁড়ানো শুরু করলাম। কিছুক্ষন পর লক্ষ করলাম আমাকে ধরতে সেও আমার পিছু পিছু দৌঁড়াচ্ছে। কাপড় নাই শরীরে। সায়া আর ব্লাউজ। তার পেছনে গ্রামের লোক জন। তারা কাদের ধরার জন্য ছুটছে বুঝতে পারলাম না। কিন্তু ওরা খুব জোরেই ছুঁটছে। পেছনে তাকিয়ে দৌঁড়াতে গিয়ে সামনে আর খেয়াল করতে পারি নি। একটা গাছের সাথে মাথাটা বাড়ি খেল। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম।

জ্ঞান ফিরে দেখি আমি আমার বিছানায়। গায়ে একটা কম্বল দেওয়া। পাশে আমার মা বসা। আঙ্গুর ফল নিয়ে বসে আছে। চোখ খুলতেই একটা ফল মুখে ঢুকিয়ে দিল। আর কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল, খাও বাবা খাও। বজ্জাতটাকে পুলিশে নিয়ে গেছে। আর কোনো ভয় নেই।
আমি উপরের দিকে তাকিয়ে বললাম, আল্লাহ, জীবনে কি করবো আর না করবো আমি জানি না। তবে সত্যি করে বলছি, জীবনে কোনো মেয়ের আঁচল ধরে আর টানবো না।
আমার মা আমার মুখের কাছে কান নিয়ে এসে বলল, কি বললি বাবা ?
আমি চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকলাম।

হাসির গল্প – কথা রাখা

 

আব্বু কথা রেখেছেন। দুইবার ইন্টারমিডিয়েট ফেল করার পর আমার বোনের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন রিকশাওয়ালার সাথে। সব বাবাই যদিও এরকম কথা রাগ করে বলেন কিন্তু আমার আব্বু এক কথার মানুষ। যা বলেছেন তাই করেছেন।

আমার রিকশাওয়ালা দুলাভাইকে নিয়ে আমি খুবই বিরক্ত। যখন তখন আমার সাথে এসে শালী শালী বলে ঢং করে মানুষের সামনে যা আমার খুবই বিরক্ত লাগে।
ভয়ে ভয়ে আমি ভালোভাবে পড়াশোনা করছি। আমি ফেল করতে চাইনা। তাহলে আমাকেও রিক্সাওয়ালার সাথে বিয়ে দিবে। আমি রিকশাওয়ালা বিয়ে করতে আগ্রহী নই।

দুলাভাইয়ের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আমরা জানতাম না। আব্বু একদিন ওনার রিকশায় বাজার করে ফিরছিলেন তখন উনি আব্বুর সব বাজার নিজে হাতে করে বাসায় পৌছে দিয়ে গেছেন দেখে আব্বু মুগ্ধ হয়েছেন। যার ফলস্বরূপ ওনার সাথে আমার বোনের বিয়ে। এক সপ্তাহ হতে চললো কিন্তু ওনার ফ্যামিলির সাথে আমাদের এখনো দেখা হয়নি। দুলাভাই সারাদিন রিকশা চালিয়ে এসে বাসায় এসে ঘাম মুছতে মুছতে ডাকেন, “ও বউ, ও শালী! পানি দেও।”
মনের দুঃখে আমার বোন কয়েকবার আত্নহত্যা করতে গেছে। প্রতিবারই ভয় পেয়ে ফিরে এসেছে।

দুলাভাইকে আমার বোন দুচোখে দেখতে পারে না। রাতে আমার ঘরে এসে থাকে আর সারারাত কাঁদে, “লাবণ্য এ আমার কি হয়ে গেল রে!! আমার বয়ফ্রেন্ড ছিল সরকারি অফিসার আর আমার বিয়ে হয়ে গেল একটা রিকশাওয়ালার সাথে রে!!!”

আপুকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। সামনে আমারো রেজাল্ট আমি খুবই আতংকে আছি। হয়তো আমার বর হবে এক অটোওয়ালা। তারপর দুই ভায়রা-ভাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকালে একজন অটো নিয়ে বের হবে আর একজন রিকশা। এদিকে আমরা দুই বোন প্রাইভেট কার ছাড়া কোথাও যাই না। কি একটা অবস্থা!

দুঃশ্চিন্তায় শিউরে উঠে আমার আর সেই রাতে ঘুম হয় না।
আমার বিদেশ থাকা ফুপী বাসায় এসেই চিল্লাচিল্লি শুরু করেছেন! আব্বুকে বলছেন,এইটা তুমি কি করলা? এতবড় ক্ষতি কেউ নিজের মেয়ের করে? এরচেয়ে আমার কাছে পাঠিয়ে দিতা, আমি কি মরে গেছিলাম?
এসব বলতে বলতে দুলাভাইয়ের কাছে গিয়ে রাগী গলায় বললেন, “you scoundrel! How dare you? I will sue you!!”
দুলাভাই বললেন, “You can’t, bcz she is my legal wife. And whatever, I have no mistakes actually..”
আমরা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি দেখে দুলাভাই আবার বললেন, “আমিও ভালো ঘরের সন্তান। আমিও ইন্টার ফেইল। ইংরেজিতে ভালোই ছিলাম অংকে ধরা খাইছি। এজন্য আমার আব্বুও আমাকে রিকশা কিনে দিয়ে বলেছে, তোর পড়ালেখা করার দরকার নেই তুই রিকশা চালা । সেজন্য আমিও একমাস হলো রিকশা চালাচ্ছি!”

হাসির গল্প  – শুদ্ধ ভাষা

(এটা জাস্ট একটা হাসির গল্প গল্পের মধ্যে কেউ অশ্লীলতা খুজতে যাবেন না, এটি পুরোপুরি এন্টারটেইনমেন্ট এর জন্য লিখেছি)

ধুর বাল সোজা হয়ে দাড়া তো আফিফ, ভালোমতো মাথা আচরাতে দে । কথাটা বললো আফিফের আম্মু।
আফিফ ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া বাচ্চা ছেলে!!
মায়ের বলা কথাটার মধ্যে সব বুঝলেও “বাল” অর্থ বুঝে নি সে।

যাই হোক ব্যাগ নিয়ে রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাচ্ছে।
রাস্তার পাশেই কলেজ পড়ুয়া দুটি ছেলে ঝগড়া করছে।
১ম ছেলেঃ তুই পারলে আমার বাল ফালাইস।
২য় ছেলেঃ হইসে হইসে তুই যে কোন বাল সেটা আমার জানা আছে।
আফিফ খুব বুঝার চেষ্টা করলো বাল দ্বারা এরা কি বুঝাতে চাচ্ছে! কিন্তু কিছুই বুঝল না সে।

অতপর আফিফ স্কুলে এসে গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে গেল। ভাবতে লাগলো বাল অর্থ কি?
এদিকে নাতাসা ম্যাডাম রোল ডাকছে।
আফিফের রোল ৬ ডাকার পরেও আফিফ প্রেজেন্ট দেয় না।
নাতাসা ম্যাডামঃ আফিফ ? এই আফিফ ? কি চিন্তা করো এত?
আফিফঃ প্রেজেন্ট ম্যাডাম।
নাতাসা ম্যাডামঃ এই বয়সে কি এত চিন্তা তোমার?
আফিফঃ ম্যাডাম একটা প্রশ্ন আছে
ম্যাডামঃ বল
আফিফঃ ম্যাডাম বাল মানে কি?
ম্যাডামঃ (হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষণ আফিফের দিকে তাকিয়ে থেকে) এই যে তোমার মাথায় যেগুলো আছে, এগুলো কেই ওইটা বলে।
আফিফঃ না ম্যাডাম মিথ্যা কথা। এগুলো তো চুল।
ম্যাডামঃ উফ! শুনো তোমার যেমন ডাক নাম আফি আর ভালো নাম আফিফ, ঠিক তেমনি এটার ডাক নাম চুল, আর ভালো নাম বাল। এটা হলো শুদ্ধ ভাষা ।
আফিফের বন্ধু রাকিবঃ হ্যা ম্যাডাম ঠিক বলেছেন, আমি টিভিতে দেখেছি একটা আন্টি চুলে হাত দিয়ে বলছিল “মেরে সুন্দরসা বাল”
আফিফ : ও তাই বুঝি ? ম্যাডাম আপনার বালগুলো কিন্তু খুব সুন্দর । আপনার বাল দেখতে আমার খুব ভালো লাগে ।
ম্যাডাম: কি বললে ???
আফিফ : হ্যা ম্যাডাম ঠিকই বলেছি । আপনার বাল অনেক সুন্দর আর স্কুলের মধ্যে আপনার বালই সবচেয়ে বড় । আমার আপুও আপনার মতো বাল রাখতে চায় ।
ম্যাডাম: কি বলছো এসব তুমি ?
আফিফ: হ্যা ম্যাডাম ঠিকই বলেছি । আচ্ছা ম্যাডাম ছেলেদের বাল ছোট আর মেয়েদের বাল এত বড় বড় হয় কেন ?
ম্যাডাম: হয়েছে হয়েছে আর কথা বলা যাবেনা, এখন পড়া শুরু করো ।
(আফিফের সাথে সাথে পুরো ক্লাসের সবাই এই বালের ব্যাপার টা জানলো)

আফিফ বাসায় এসে, মা আর বড় আপুর সাথে টিভি দেখতে বসলো । তার মা আর আপু সারাদিন হিন্দি চ্যানেল দেখে । ঠিক তখন একটা শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন দিলো । হ্যা শ্যাম্পুর এডে মেয়েটি তার চুল ধরে বলছিল “মেরে সুন্দরসা বাল”।
আফিফ এবার সিউর!

আফির তার বাবার কাছে গেল..
আফিফঃ আব্বু টাকা দাও, বাল কাটবো!
আফিফের বাবাঃ কি কাটবি?
আফিফঃ বাল গুলো বড় হয়ে গেছে, স্কুলের ম্যাডাম বলসে কাটতে ।
(আফিফের বাবা হতভম্ব হয়ে গেলো । তার মাথাটা হ্যাং হয়ে গেলো । রোবট এর মত টাকা দিয়ে হা করে তাকিয়ে ছিল আফিফের দিকে)

বিকেল বেলা আফিফ মাঠে খেলতে গেল..
এলাকার বড় ভাইঃ কি রে আফিফ এত দেরি করলি কেন?
আফিফঃ আরে ভাই, বাল কাটতে কাটতে দেরি হয়ে গেছে, একটু সুন্দর ডিজাইন করে কাটতে গিয়ে দেরি হয়ে গেলো ।
এলাকার বড় ভাইঃ আফিফ তুই সুস্থ তো? কি সব বাজে কথা বলছিস ? তুই বাল কেটেছিস মানে ?
আফিফঃ এমন ভাবে তাকাইয়া আছেন কেন ? আপনারাওতো বাল কাটেন । আমি কাটলে কি দোষ ? আর সেলুনে আজ ভিড় বেশি ছিলো তাই বাল কাটতে দেরি হয়েছে ।
এলাকর বড় ভাই : কোথায় কেটেছিস বললি ? সেলুনে কেউ বাল কাটে নাকি ?
আফিফ: এইতো বাজারে প্রনব বাবুর সেলুনে কেটেছি । আর আমিতো সবসময় সেলুনেই বাল কাটি । নিজে নিজে তো সুন্দর ডিজাইন করে বাল কাটা যায়না । উনি খুব সুন্দর করে সব সময় আমার বাল কেটে দেন ।
(সবাই স্তব্ধ হয়ে গেল)

সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে,
আফিফ গেল তার দাদার কাছে,,
আফিফঃ দাদা কি করো?
আফিফের দাদাঃ দাদুভাই পাকনা চুল গুলো কলব দিয়ে কালো করি।
আফিফঃ ওহ তুমিতো তাহলে বাল পাকনা ।
আফিফের দাদুঃ কি বললা দাদুভাই?
আফিফঃ লুকাইয়া লাভ নাই। আমি সব দেইখা ফেলসি।
(আফিফের দাদা নিজের লুংগিটা টেস্ট করলো, হ্যা লুংগিতে তো ছিদ্র নাই কিভাবে দেখলো ?)

আফিফের কিন্তু একটা প্রেমিকা আছে..
পাশের বাসার ৪ তলায় থাকে মেয়েটা, নাম তানিয়া, ৩য় শ্রেণী তে পড়ে। প্রতিদিন বিকেলে ছাদে দেখা করে তারা..
আফিফঃ তোমার ওই সিল্কি বালের আলতো ছোয়ায় আমি ভালোবাসার আভাস পাই, তোমার ঐ বালের গহীন রাজ্যে আমি হারিয়ে যেতে চাই ।
তানিয়াঃ কিসের ছোয়ায়?
আফিফঃ বালের।
তানিয়াঃ আরে সেইটা কি?
আফিফঃ এই যে এগুলো!
তানিয়াঃ এগুলো তো চুল।
আফিফঃ বেপি আমি তো আর ক্ষ্যাত না। আমি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলি। চুল তো অশুদ্ধ ভাষা, আর বাল হচ্ছে শুদ্ধ ভাষা – আমাদের ম্যাডাম বলেছে!
তানিয়াঃ কিন্তু সবাই তো চুল বলে,
আফিফঃ সবাই গু খেলে, আমিও তো আর গু খেতে পারি না।
তানিয়াঃ ঠিক আছে তুমি যা বলবা আমিও তাই বলবো ।

তারপর এভাবেই চলতে চলতে,,
২দিন পর আফিফের আপন বড় ভাই আসিফ কলেজ হোস্টেল থেকে বাসায় ফিরেছে,,
আফিফঃ আসিফ ভাই তোমার বাল গুলো এত্ত বড় বড় আর বিভিন্ন কালার কেন?
আসিফঃ তুই কেমনে দেখলি?
আফিফঃ সবাইত সবার বাল দেখতে পারে, এটা না দেখার কি আছে।
আসিফঃ মানে?
আফিফঃ এই যে দেখো, আমার বাল কতো ছোট!
আসিফঃ এগুলো তো চুল, কি বলিস তুই?
আফিফ; হম জানি না। চুল অশুদ্ধ শব্দ আর বাল শুদ্ধ শব্দ!
আসিফঃ এক থাপ্পর দিতে দাত সব ফেলে দিব।
কে বলসে তোরে এগুলা?
আফিফঃ স্কুলের ম্যাডাম।
আসিফঃ এগুলোর একমাত্র নাম চুল। আর বাল হচ্ছে অন্য একটা জিনিস। যেটা তুই বড় হলে বুঝবি।
আফিফঃ মিথ্যা বলতাছ তুমি
আসিফঃ না রে ভাই। তুই বড় হ। সব বুঝবি। আজ থেকে আর কখনো এটাকে বাল বলবি না। চুল বলবি। ঠিক আছে?
আফিফঃ আচ্ছা! আচ্ছা ভাই বললা না, তোমার বাল গুলো লাল কেন? ওহ সরি,, চুল গুলো লাল কেন?
আসিফঃ এইটা স্টাইল!!

সমাপ্ত

হাসির গল্প – ফেসবুক পাগল শশুড়

আজ আমি আপনাদের সাথে আমার একটি হাসির গল্প শেয়ার করবো ।

বাসর রাতে ফেসবুকে ঢুকে দেখি অপরিচিত একটা আইডি থেকে মেসেজ এসেছে । মেসেজে লিখেছে “জামাই বাবাজি প্লিজ এড মি, আই এম ব্লকড” !

প্রোফাইল চেক করে দেখি আমার শ্বশুর। নতুন শ্বশুর মেসেজ দিয়েছে তাই রিকুয়েস্ট পাঠালাম। ওমা! দেখি সাথে সাথে একসেপ্ট।
একটু পর শ্বশুর মেসেজ দিলো ” জামাই কি করছো ?”
শ্বশুরের মেসেজ পড়ে নিজের মাথার চুল টেনে ছিঁড়তে ইচ্ছে করছিল। বাসর রাতে তার মেয়ের সাথে আমি কি করছি সেটাও কি তাকে বলতে হবে ? আজ তার মেয়ের বাসর রাত আর উনি এই টাইমে জামাইকে মেসেজ দিয়ে বলে “জামাই কি করছো ?”
। মনের দুঃখে চারপাশে বিষের বোতল খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু আমার শ্বশুরের কপাল ভালো যে বিষের বোতল সেইদিন
পাইনি। নাহলে বাসর রাতেই তার মেয়ে বিধবা হইতো।

প্রথমদিনেই বুঝে গেছি এই শ্বশুর নিয়ে আমার কপালে খারাপি আছে। সেই যে বাসর রাত থেকে শুরু আজ ছয়মাস হচ্ছে উনার জ্বালায় ফেসবুকে ঢোকাই বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ ফেসবুকে ঢুকেলেই দেখবো শ্বশুর ছবি আপলোড দিয়েছে। আর সেসব ছবির ক্যাপশন দেখে মনে হয় ফেসবুকে যদি এক পোস্টে হাজার হাজার হা হা দেওয়ার অপশন থাকতো। কয়েকবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ইমেইল করেছি এমন অপশন চালু
করার জন্য। কিন্তু উনারা আমার কথা কানেই নেয় না। নাহলে শ্বশুরের পোস্টে হা হা রিএক্টটের বন্যা বইয়ে দিতাম।

আমার শ্বশুর বেশি না, দিনে মাত্র ১০-১২ টা পোস্ট দেয় ! বেশির ভাগ পোস্টে থাকে উনার বিশেষ মুহূর্তে তোলা সেলফি নয়তো কোনো আবেগময় পোস্ট। সামনে যাকেই পাবে উনি তাকেই নিয়ে সেলফি তুলে পোস্ট দেন। ক্যাপশনে লিখে দেন ” উমুক তুমুকের সাথে বিশেষ মুহূর্তে তোলা সেলফি। বন্ধুরা কেমন হয়েছে কমেন্টে জানান”।

একদিন উনার একটা আবেগময় পোস্ট দেখলাম – ” আজ অনেকদিন পর বৃষ্টিতে ভিজে ছেলেবেলার কথা মনে হয়ে বুকের মধ্যে হাহাকার করে উঠলো”। এক ছেলে দেখি সেখানে কমেন্ট দিয়েছে আঙ্কেল ” এটা মনে হয় আপনার গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা। শ্বশুর আব্বা সেখানে কমেন্ট রিপ্লাই দিয়েছে “তুই ফরিদ উদ্দিনের পোলা না? তোর আব্বার কাছে যদি বিচার না দিছি”।
একটু পর দেখি শ্বশুর আব্বা একটা আইডি লিংক দিয়ে বলে “জামাই এই আইডির বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেও। ছেলেটা আমার পোস্টে উল্টাপাল্টা কমেন্ট করে। চেক করে দেখি এটা তো ঔ ছেলে যে আমার শ্বশুরের আবেগময় পোস্টে গ্যাস্ট্রিকের কথা বলেছে। ছেলেটার প্রতি খুশি হয়ে ওর সব পোস্টে লাভ রিএক্ট দিয়ে এসেছি।

সেদিন অফিসের একটা মিটিং হচ্ছে। এর মধ্যে দেখি শ্বশুরের ফোন। চুপিচুপি ফোন রিসিভ করে বললাম ” আব্বা আমি মিটিংয়ে”। শ্বশুর সাথে সাথে বলল” জামাই একটা পোস্টে তোমাকে ট্যাগ করেছি। ট্যাগ রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করো।
আমি আচ্ছা বলে ফেসবুকে ঢুকে ট্যাগ রিকুয়েস্ট একসেপ্ট বের হয়ে এলাম। একটু পর অফিসের বস দেখি হাসতে হাসতে তার চেয়ার থেকে উল্টে পড়ে গেলো। সবাই দৌড়ে গেলাম বসকে তুলতে। উনি বাঁধা দিয়ে বললেন ” দাঁড়াও দাঁড়াও আগে হেসে নেই”। জীবনে ফ্রিতে এর থেকে বিনোদন পাবো না। অফিসের সবাই সবার মুখের দিকে তাকিয়ে বসের কথার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে তার হাতের ফোন আমার দিকে ধরে বলল ” এইটা তোমার শ্বশুর না? বিয়েতে যে দেখলাম”। বসের হাত থেকে ফোন নিয়ে দেখি ” শ্বশুর আব্বা একটা ছবি পোস্ট করেছে। ছবিটায় একটা রকেটের উপর আমার শ্বশুর বসে আছে”। ক্যাপশন দিয়েছে” এই অন্যায় অবিচারের দেশে আর থাকবো না। তাই মনের দুঃখে চাঁদে চলে যাচ্ছি”।

সেইদিন অফিস থেকে বের হয়েই একটা মেয়ের ফেইক আইডি খুলে কয়েকটা সুন্দর ছবি পোস্ট দিয়ে শ্বশুর আব্বা সহ তার পরিচিত সবাইকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালাম। শ্বশুর আব্বা সাথে সাথে রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে মেসেজ দেওয়া শুরু করলো। কয়েকদিন লাগাতার ফেইক আইডি
থেকে মেসেজ দিলাম শ্বশুর আব্বাকে। আমি শ্বশুর আব্বাকে মেসেজ দেই” এই তুমিনা অনেক সুন্দর। তোমার ফেসবুকে দেওয়া ছবি দেখলে মনেই হয় না তোমার বয়স বেশি”। শ্বশুর আব্বা আমার এসব মেসেজ দেখে বিভিন্ন স্টাইলে ছবি তুলে আমার ফেইক আইডিতে পাঠায় সাথে কিসিং স্টিকার সহ। সবকিছুর স্ক্রিনশট নিয়ে সেই ফেইক আইডি থেকে শ্বশুর আব্বা সহ তার পরিচিত সবাইকে ট্যাগ করে পোস্ট দিলাম। একটু পর আমার নিজের একাউন্টে ঢুকে দেখি শ্বশুর আব্বা পোস্ট দিয়েছে “কে যেন আমার আইডি হ্যাক করে এক দ্বীনি বোনকে নানা রকম বাজে মেসেজ দিয়েছে। তাই আমি চাচ্ছি না এই বৃদ্ধ( দুঃখের ইমো) বয়সে আর ফেসবুক চালাই।
এইজন্য আমি আর ফেসবুক চালাবো না।
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।

হাসির গল্প – ডাক্তারখানা

শ্যাম্পু খেয়ে ফেলেছি ডাক্তারসাহেব! পেটের অবস্থা ভীষণ রকমের খারাপ। কিছু তো খেতে পারছিই না। উল্টো পেট খারাপ হওয়ার কারণে বার বার বাথরুম যেতে হচ্ছে। ফলে যা পেটের ভেতরে ছিল, সেগুলো ও বেরিয়ে যাচ্ছে। আমার কি হবে ডাক্তারসাহেব? তবে কি আমি আর বাঁচবো না? আমার সময় কি ফুঁরিয়ে এসেছে। আমার বউ কি এতো দ্রুতই বিধবা হয়ে যাবে! অনেকটা ঝড়ের বেগে চিৎকার- চেঁচামিচি করে লোকটি কথাগুলো বললেন।

ডাক্তারসাহেব লোকটির দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালেন। খেয়াল করলেন লোকটির মাথার চারপাশে নাম মাত্র কটা চুল। আর ঠিক মাঝখানে বিশালাকৃতির টাক। টাকের স্থানটা কোনো এক অদ্ভুদ কারণে চকচক করছে।

ভ্রু কুঁচকানো অবস্থায় রোগীকে বললেন :- বাহ্, অতি অসাধারণ কর্ম করিয়াছেন! মাথায় তো দেখছি একগাছা চুল ও নেই। তা আপনার কি কোনো কারণে মনে হয়, আপনার মাথার বদলে পেটের ভেতর চুল গজিয়েছে?
ডাক্তার সাহেবের কথা শুনে, রোগী তার মাথা খানিকটা নিচু করলেন। খুব সম্ভবত তিনি লজ্জা পেয়েছেন। তারপর মিন মিন করে বললেন:- ইয়ে..মানে না স্যার! তা মনে হবে কেন?
:- তবে শ্যাম্পু খেতে গেলেন কেন। দুনিয়ায় কি খাবারের অভাব পড়ছিল যে শ্যাম্পু গিলতে হবে। নাকি চালের দাম বৃদ্ধির কারণে শ্যাম্পু খাওয়ার অভ্যাস শুরু করেছেন। আগে তো মানুষ চালের দাম বৃদ্ধি পেলে আলু খেত। তখনকার যুগের স্লোগান ছিল “নিয়মিত আলু খান, ভাতের উপর চাপ কমান”। এখন তো আপনার জন্য নতুন স্লোগান লিখতে হবে ” নিয়মিত শ্যাম্পু খান, ভাতের উপর চাপ কমান”।
:- ইয়ে.. মানে, আসলে স্যার !
:- রাখেন আপনার ইয়ে..মানে ! শ্যাম্পু কোথায়, কি কাজে ব্যবহার করতে হয় সেটা জানেন তো? নাকি আপনি আপনার কিডনি, পাকস্থলী ও লিভার শক্ত, মজবুত ও সিল্কি করার জন্য শ্যাম্পু গিলে খেয়েছেন ?
:- না.. স্যার ব্যাপারটা তেমন নয় ! আমি জানতাম না ওটা যে শ্যাম্পু । আসলে আমার বউ চলে গেছে তার বাবার বাড়ি। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দেখুন, তারপর দিন ই আবার কাজের বুয়ার মা মারা যায়। সে ও চলে যায় তার গ্রামের বাড়ি। আমি বাসায় একা। খাবার রান্না করার জন্য কেউ নেই। কিন্তু স্যার পেট কি তা বুঝে? তার তো খাবার চাই। পেটে তিন-চারটা আকাশ সমান ক্ষিদা নিয়ে রান্নাঘরে গেলাম। পুরো রান্নাঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও রান্না করার জন্যে তেমন কিছুই পেলাম না। সব শেষে একটা ডিম পাওয়া গেল। কিন্তু ততক্ষণে আমার ক্ষিদা এতোটাই বেড়েছে যে দশ-পনেরটা ডিম খেলেও তেমন কিছুই হবে না।

আমি ভাবলাম আরেকটু খুঁজে দেখি, যদি আরো ডিম পাওয়া যায়। ডিম পাওয়া গেল না। একটা বাটি পাওয়া গেল। বাটির মধ্যে হলদে রঙ্গের কাঁচা ডিমের মতো কিছু একটা ছিল। আমি ভাবলাম এটা হয়তো ডিমই হবে। তাছাড়া কাজের বুয়া ডিম ভেঙ্গে গেলে এভাবে করে ডিম বাটিতে রাখে।
তারপর ওটার সাথে ঐ ডিমটা মিশিয়ে ভেজে ফেললাম। এবং গপাগপ খেয়ে ফেললাম। অবশ্য খাওয়ার সময় খানিকটা কমলালেবুর ফ্লেভার পাচ্ছিলাম। ভাবলাম মন্দ কি? কমলালেবুর ফ্লেভার তো খারাপ না।

এতটুকু শুনে ডাক্তার সাহেব মুচকি হাসলেন। এবং বললেন:- বাহ্, ব্যাপারটা তো বেশ ইন্টারেস্টিং। ডিমের ভেতর কমলালেবুর ফ্লেভার, মানে “টু ইন ওয়ান”। তারপর কি হলো বলুন।
:- তারপর থেকেই তো স্যার শুরু হলো আসল খেলা। হঠাৎ পেটে মোচড় দিয়ে উঠলো। একবার বাথরুমে গেলাম। বাথরুম থেকে বেরুতে না বেরুতেই আবার পেটে মোচড় দিল। এভাবে একটু পর পর পেটে মোচড় দেয়া শুরু হলো। খালি বাথরুমে যাই আর বেরুই, যাই আর বেরুই। এক পর্যায়ে বউকে ফোন করলাম, পুরো ঘটনা শুনে সে হাসতে হাসতে বললো:- আরে গাধা! ঐটা তো শ্যাম্পু ছিল। ওরেঞ্জ ফ্লেভারের বিদেশী শ্যাম্পু । দেখতে অনেকটা ডিমের মতো। এটা আমার মামা আমাকে বিদেশ থেকে পাঠিয়েছেন। বোতল থেকে শ্যাম্পু বের করতে গিয়ে বেশি বের করে ফেলেছিলাম। তাই বেশিটুকু বাটিতে রেখেছিলাম। বউয়ের মুখে এ কথা শোনার পর রাগে হাসবো না কাঁদবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। শেষে আপনার শরণাপন্ন হলাম। কিছ একটা করুন স্যার! কিছু একটা করুন।

ডাক্তারসাহেব খানিকটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন:- বর্তমানে আপনার ভেতরকার অনুভূতিটা কি রকম?
:- খানিকটা ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে স্যার। খুব সম্ভবত ঐ শ্যাম্পুতে মেনথল ছিল। ভেতরটা ঠান্ডা হয়ে গেছে।
:- বলছিলাম কি, রোগী সাহেব। আমার ধারণা শ্যাম্পু খাওয়ার ফলে আপনার ভেতরে নেগেটিভ প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি কিছু পজেটিভ প্রতিক্রিয়া ও সৃষ্টি হয়েছে। এমনটাও হতে পারে শ্যাম্পুর কারণে আপনার কিডনীর কিংবা লিভারের কর্মক্ষমতা বেড়ে গেছে। পৃথিবীতে কত রকমের আশ্চর্য ঘটনাই ঘটে থাকে। যেগুলো আমাদের ধারণার ও বাইরে।

ডাক্তার সাহেবের কথায় রোগীর চোখ বড় হয়ে গেল। চোখভরা আশ্চর্য নিয়ে রোগী প্রশ্ন করলেন:- এসব কি বলছেন স্যার! আপনি কি আমার সাথে ঠাট্টা শুরু করছেন?
ডাক্তার সাহেব ঠান্ডা গলায় বললেন:- আরে না..না। ঠাট্টা করবো কেন? তাছাড়া আপনি কি আমার শ্যালক হন, যে আপনার সাথে ঠাট্টা করবো? শুনুন আপনাকে একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধি দেই। আপনি একবার ” বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট” এ গিয়ে আপনাকে দেখিয়ে আসুন। তারা প্রাণী নিয়ে বিভিন্ন রকমের গবেষণা করে থাকেন। হতে পারে আপনার ভেতরটা গবেষণা করে শ্যাম্পু খাওয়ার কোন না কোন উপকারিতা উনারা খুঁজে পাবেন। পরে সেই উপকারিতার কথা সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। তারপর সবাই প্রতিদিন নিয়মকরে শ্যাম্পু খাবে। আর শ্যাম্পু খাওয়ার সব ক্রেডিট যাবে আপনার উপর। এমনকি আপনার মৃত্যুর পরও সবাই আপনাকে একজন ” শ্যাম্পু খাদক” হিসেবে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আপনার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করবে। সাদা গোলাপ অর্পন করবে। বুঝলেন রোগী সাহেব নিজেকে বিখ্যাত করার এই সুযোগ, এই সুযোগ কিন্তু বার বার আসবে না। তাই কাজে লেগে পড়ুন।
এবার রোগী খানিকটা রেগে গেলেন। রাগী কণ্ঠে বললেন:- দেখুন আমি আপনার কাছে চিকিৎসার জন্য এসেছি। এসব আলতু ফালতু বুদ্ধির জন্য নয়!

রোগীর কথায় ডাক্তারসাহেব তেমন কিছু মনে করলেন না। তিনি বেশ ঠান্ডা ভাবে বললেন:- আচ্ছা ঐ বুদ্ধি যদি আপনার ভালো না লাগে, তবে আরেকটা অভিনব বুদ্ধি আপনাকে দেই। দেখুন মূলত আপনার ভুলটা হলো স্থানগত। যেটা চুলে দেয়ার দরকার ছিল সেটা পেটে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হলো আপনার পেটের ভেতর কোনো চুল নেই। থাকলে খুব সম্ভবত তেমন একটা অসুবিধা হতো না। এবার এক কাজ করুন। দ্রুত সেলুনে যান। ওখানে গিয়ে কিছু চুলও খেয়ে ফেলুন। তাহলে হবে কি, পেটের ভেতরে শ্যাম্পু তার চুলের ছোঁয়া পাবে….

পুরো কথা বলার আগেই রোগী সাহেব ভীষণরকম রেগে গেলেন। উনার শরীর কাঁপা শুরু করলো।

কাঁপতে কাঁপতে বললেন :- রাখেন মিয়া আপনার ডাক্তারী। যত্তোসব পাগল-ছাগল চেম্বার খুলে বসে পড়েছে । গেলাম আমি। কথাটা বলেই রোগী হন হন করে বেরিয়ে গেলেন।
যাবার সময় ডাক্তার সাহেবের ভিজিট টা পর্যন্ত দিয়ে গেলেন না । ডাক্তারসাহেব অনেকটা অসহায়ের মতো রোগীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন। আর মনে মনে একটা গান গাইতেছেন:-
“চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিড়ে, কাঁদিস কেন মন;
ভাঙ্গা গড়া এই জীবনে আছে সর্বক্ষণ।

বাসর রাতের গল্প পড়তে ক্লিক করুন

আশা করি আমাদের এই হাসির গল্প গুলো আপনাদের ভালো লেগেছে । যদি আমাদের এই হাসির গল্প গুলো আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে আমাদের উৎসাহিত করার অনুরোধ রইলো । ধন্যবাদ ।

এই সপ্তাহের সর্বাধিক দেখা ভিডিও:

বাংলাদেশীদের জন্য সেরা অ্যাপ

BD MEDIA MATE APP SCREENSHOT

আমাদের ওয়েবসাইটের জনপ্রিয় পোস্টগুলি:

BEST APP FOR US PEOPLE

US MEDIA MATE APP
Don`t copy text!