পৃথীবির বিভিন্ন দেশের পর এবার বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। অনেকেই ভাবছেন এ ভাইরাস হলে বোধহয় আর রক্ষা নেই। তবে বিষয়টি ভূল। এপর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ, এর ভিতরে মারা গিয়েছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন মানুষ। সুতরাং খেয়াল করুন, ১ লাখ ২১ হাজার মানুষ কিন্তু মারা জাননি। অনেকেই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাই আতংকিত না হয়ে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে আপনি এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
করোনাভাইরাস থেকে বাচার উপায়:
* সাবান, স্যানিটাইজার বা গরম পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো মতো হাত ধুতে হবে। প্রবাহমান পানিতে হাত ধুতে হবে। বালতি বা কোন পাত্রের ভিতর হাত ঢুকিয়ে হাত ধোয়া যাবেনা।
* সর্দি-কাশি বা জ্বর আক্রান্ত ব্যাক্তির কাছ থেকে অন্তত ৩/৪ ফুট দুরত্ব বজায় রাখুন। কারন কোনটি সাধারন সর্দি কাশি আর কোনটি করোনাভাইরাস তা যেহেতু আপনি বুঝতে পারছেন না তাই সবসময় সতর্ক থাকাই ভালো। আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ বা হাঁচি কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় তাই অসুস্থ ব্যাক্তির কাছ থেকে দুরুত্ব বজায় রাখুন। অসুস্থ ব্যাক্তির পরিচর্যা করলে হলে সতর্কতার সাথে পরিচর্যা করুন।
* হাঁচি কাশি দেয়ার সময় নাক, মুখ রুমাল, টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢেকে নিন। হাতের তালু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে হাচি দিবেননা। এতে করে কোন জীবানু থাকলে তা হাতের তালুতে এসে পড়ে এবং সেই হাত দিয়ে অন্য কিছু স্পর্শ করলে তাতে ছড়িয়ে পরে।
* কারো সাথে হাত মেলানো, জড়িয়ে ধরা বা কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকুন।
* করোনাভাইরাসে শুধু মানুষ নয়, পশুপাখিও আক্রান্ত হয়। তাই অসুস্থ গবাদিপশুর বিষয়ে সতর্ক থাকুন। রোগাক্রান্ত পশু-পাখির মাংস খাবেননা। বাজার থেকে কিনে আনা মাংস বা সবজি ভালো মতো পরিষ্কার করে নিন এবং ভালো করে সিদ্ধ করে খান।
* ভালোমতো হাত না ধুয়ে চোখ, নাক, মুখ ও কানের ভিতরে স্পর্শ করবেননা।
* খুব প্রয়োজন ছাড়া জনসমাগম স্থল এড়িয়ে চলুন। ঘরে থাকার চেষ্টা করুন। বাইরে গেলে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
উপরিউক্ত বিষয়গুলো মেনে চললে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। আপনার এলাকায় কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে দ্রুত স্বাস্থ্যকর্মি বা আইইডিসিআর এর সাথে যোগাযোগ করুন। আইইডিসিআর এর নাম্বার: ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৫।
Add Comment