পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন এমন মেয়েদের সংখ্যার দিক থেকে দক্ষিন এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ২য়। তালিকায় ১ম স্থানে রয়েছে ভারত।
দক্ষিন এশিয়ার দেশসমূহে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এমন একটি বহুজাতিক এনজিও পরিচালিত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপ ও আফগানস্তানে পরিচালিত এ জরিপে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বিয়ে, পরকীয়া ও সংসার জীবন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মেয়েরা।
ভারতে ৫ হাজার বিবাহিত মহিলা জরিপে অংশ নেন। এর মধ্য ১১৮৫ জন মহিলা স্বামীর অগোচরে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন বলে স্বীকার করেন। শতকরা হিসেবে যা প্রায় ২৪%। অর্থ্যাৎ ভারতে ১০০ জন বিবাহিত মহিলার মধ্যে ২৪ জনই পরকীয়ায় আসক্ত।
বাংলাদেশে ১০০০ জন বিবাহিত মহিলা জরিপে অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২১১ জন পরকিয়ায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। শতকরা হিসেবে যা ২১%। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশের ১০০ জন বিবাহিত মহিলার মধ্যে ২১ জনই পরকিয়ায় আসক্ত।
উভয় দেশেই দেখা গেছে যে উচ্চ শিক্ষিত, কর্মজীবি ও স্বামি বিদেশে থাকেন এমন মহিলারাই পরকিয়ায় বেশি আসক্ত। তবে গ্রাম অন্চলে ও সাধারন গৃহীনিদের মাঝেও এই হার একেবারে কম নয়।
তবে জরিপে অংশ নেয়া বেশিরভাগ মহিলাই বিষয়টিকে স্বামীর সাথে প্রতারনা হিসেবে মানতে নারাজ।
বিষয়টিকে সামাজিক অবক্ষয়ের চুড়ান্ত রুপ হিসেবে বর্ননা করেছেন শিক্ষাবিদ ও মনবিজ্ঞানিরা। তাদের মতে দেশের মহিলাদের উপর ভিনদেশি সংস্কৃতির প্রভাব, ধর্মীয় শিক্ষা থেকে দুরে সরে যাওয়া, স্বল্প সময়ের আবেগ, মূল্যবোধ, প্রকৃত শিক্ষা ও নৈতিকতার অভাব এর পিছনে দায়ি। পাশাপাশি পুরুষদের স্ত্রীকে সময় না দেয়া, স্ত্রীর কথার মূল্যায়ন না করা, সংসার পরিচালনায় ব্যার্থতা সহ বিভিন্ন বিষয়ও এর পিছনে দায়ি বলে তাদের মতামত।
তাদের মতে ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। পরিকিয়ার কারনে সংসারে ভাঙ্গন, সন্তানদের জীবন নষ্ট হওয়া এমনকি মানুষ খুনের ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে।
বিষয়টি এখনই পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রন করা না হলে এটি করোনা ভাইরাসের চাইতেও ভয়াবহ মহামরি রুপে দেখা দিবে।
আরো পড়ুন –
Add Comment