জাকির হোসেন নামে এক বাংলাদেশী যুবককে সৌদি আরবের রিয়াদে হত্যা করা হয়েছে। অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা বাসায় একা থাকা অবস্থায় জাকির হোসেনকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।
জাকির প্রায় ১৩ বছর যাবত সৌদিতে বসবাস করছিলেন। বিয়ে ঠিক হওয়ায় কিছুদিন পরেই দেশে ফিরে আসার কথা ছিলো তার। তবে দেশে ফিরে আসার আগেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
পরিবাবের সদস্যরা জানান, বুধবার সকাল থেকেই জাকিরকে ফোন করে পাওয়া যাচ্ছিলোনা। পরে জাকিরকে না পেয়ে একই বাড়িতে থাকেন এমন একজনকে ফোন করলে তিনি জানান যে, আমরা কাজে আসার আগে জাকিরকে বাসাতেই দেখে এসেছি। সে বাসাতেই আছে।
পরে পরিবারের সদস্যরা রিয়াদে অবস্থানকারী আরেক আত্বিয়কে বিষয়টি খোজ নিতে বলেন। বিকেল তার মাধ্যমে খবর আসে যে জাকিরকে তার ঘরে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহত জাকিরের মৃতদেহের একটি রক্তাক্ত ছবিও পরিবারের কাছে পাঠানো হয়।
তবে কে বা কারা কি কারনে জাকিরকে হত্যা করে থাকতে পারে সে বিষয়ে কেউ কোন ধারনা দিতে পারেনি।
২০০৮ সালে বিদেশ যাওয়ার পর আড়াই বছর আগে বড় ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে জাকির একবার মাত্র দেশে এসেছিলো।
স্থানীয় চেয়ারম্যানের মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হওয়ায় তার কিছুদিন পরে দেশে আসার কথা ছিলো। তবে দেশে ফেরার কিছুদিন আগেই তিনি হত্যাকান্ডের শিকার হলেন। জাকিরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে।
Add Comment