করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পরার পর আমরা নতুন একটি শব্দ শিখেছে। শব্দটি হলো “লকডাউন”। এই শব্দটি আমরা বেশিরভাগ মানুষই আগে কোনদিন না শুনলেও এখন সবাই শব্দটি বলতে ও লিখতে পারি।
তবে শুধু লকডাউন শব্দটি জানলেই হবেনা, লকডাউন কত প্রকার ও কি কি সেটিও জেনে রাখা দরকার।
পৃথীবির অন্যান্য দেশে লকডাউন মানে লকডাউন। সেসব দেশের সরকারগুলো শুধু লকডাউন দিতে পারে। তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত লকডাউনের কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট বের হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি অনুযায়ি বাংলাদেশের সরকার একেক সময়ে একেক ধরনের লকডাউন দিতে পারে। এগুলো হচ্ছে-
লকডাউন (এটি শুধু শব্দভান্ডারে সীমাবদ্ধ। বাস্তবে এর কোন ভিত্তি নেই)।
সীমিত পরিসরে লকডাউন ( এই লকডাউন মানে সবকিছুই চলবে তবে করোনার বিস্তার রোধে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এটা অন্যান্য দেশকে বোঝাতেই এই লকডাউন।)
কঠোর লকডাউন ( এই লকডাউন মানে বাস চলবে তবে এক জেলার বাস আরেক জেলায় যেতে পারবেনা! রাস্তায় কোথাও ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা পড়লে বলতে হবে জরুরী প্রয়োজনে বের হয়েছি।)
কঠোরতম লকডাউন (এই লকডাউনে বাস, লন্চ, ট্রেন বন্ধ থাকবে। রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে মাঝেমধ্যে যানবানহ আটকে দেয়া হতে পারে। শিল্প কারখানা, ব্যাংক সবকিছুই চলবে তবে কিছুটা কম সময়ের জন্য।)
সর্বাত্বক লকডাউন ( এই ধরনের লকডাউনে যানবাহন ও অফিস আদালত বন্ধ থাকবে। রাস্তায় বের হলে পুলিশ জরিমানা করতে পারে। দিনের বেলা শিল্প কারখানা বন্ধ রাখতে হবে তবে রাতের আধারে গোপনে কারখানা চালানো যেতে পারে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এসময় কিছুটা কঠোর অবস্থানে থাকবে।)
যখন যেই ধরনের লকডাউন দরকার আমাদের সরকার তখন সেই ধরনের লকডাউন দেয়। ভবিষ্যৎতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আরো বিভিন্ন ধরনের লকডাউন উদ্ভাবনের জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Add Comment