Home » ৫ টি জনপ্রিয় ফাস্টফুড রেসিপি একইসাথে -2023
নিবন্ধ

৫ টি জনপ্রিয় ফাস্টফুড রেসিপি একইসাথে -2023

পুরি, সিঙাড়া, বেগুনী, পিঁয়াজু, আলুর চপ

জনপ্রিয় ফাস্টফুড এর কথা বলতে গেলে সবার আগে মনে হয় ভাজাপোড়ার কথা। অর্থাৎ পুরি, সিঙাড়া, বেগুনী, পিঁয়াজু, আলুর চপ ইত্যাদি। সকালের হালকা খাবার অথবা বিকেলের নাস্তা হিসেবে এই খাবারগুলো সর্বাধিক জনপ্রিয়।

৫ টি জনপ্রিয় ফাস্টফুড রেসিপি

এগুলো সাশ্রয়ী মূল্যের, মজাদার এবং প্রায় যেকোন জায়গায় পাওয়া যায়। কিন্তু হোটেলের ভাজাপোড়া স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো রাস্তার পাশে থাকে এবং সারাদিন ধুলো-বালি এসে এগুলোর উপরে পড়ে। তাছাড়া যারা এগুলো তৈরি করে তারা খুব স্বাস্থকর ভাবে কাজ করে না। খুব কম ক্ষেত্রেই তারা মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের হাত ময়লা থাকে। অনেক হোটেলের পরিবেশনও অস্বাস্থ্যকর। পরোটা, রুটি সহ এসব ভাজাপোড়া তৈরি হয় মেয়াদউত্তীর্ন ময়দা, লবন ও অন্যান্য উপকরন দিয়ে। আর যেই তেলে এগুলো ভাজা হয় তাও থাকে কয়েকমাস এর পুরানো বা বাসি। এসব দিক বিবেচনা করে বলা যায়, হোটেল এর ভাজাপোড়া আমাদের স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আপনি যদি নিয়মিত এগুলো খান তাহলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই আমরা আপনাদের সামনে পুরি, সিঙ্গারা, বেগুনি, পিঁয়াজু , সমুচা, আলুর চপ এর রেসিপি তুলে ধরছি যাতে আপনারা এই জনপ্রিয় ফাস্টফুড গুলো বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন।

পুরি তৈরির রেসিপি

পুরি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফাস্টফুড। কেবল বাংলাদেশেই নয়, ভারতের কলকাতাসহ আরও নানা অঞ্চলে এটি প্রচলিত। বিভিন্ন প্রকারের পুরি রয়েছে। যেমন: ডালপুরি, আলুপুরি, কিমাপুরি ইত্যাদি। তবে, এদের মধ্যে ডালপুরিই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও প্রচলিত। তাই আজকে আমরা ডালপুরি তৈরির রেসিপি তুলে ধরব।

উপকরণ :

১) ময়দা – ৪ কাপ।
২) লবণ – পরিমাণ মতো।
৩) সয়াবিন তেল – পরিমাণ মতো।
৪) পানি – পরিমাণ মতো।
৫) বেকিং পাউডার – ১ চিমটি(ঐচ্ছিক)
৬) মসুর ডাল – ১ কাপ।
৭) পেয়াজ কুঁচি – ২ টেবিল চামচ।
৮) হলুদ গুড়া/ফাঁকি – ১/২ চা চামচ।
৯) জিরা গুড়া/ফাঁকি – ১ চা চামচ।
১০) শুকনো মরিচ – ৬ টি।
১১) কাঁচামরিচ কুঁচি – ৪ টি।
১২) গোল মরিচের গুড়া/ফাঁকি – ১ চা চামচ।
১৩) পাঁচ ফোড়ন – ১ চা চামচ।

প্রস্তুতপ্রণালী :

প্রথমে একটি পাত্রে/বোলে ৪ কাপ ময়দা নিন। পরিমাণ মতো লবন মিশান। মনে রাখবেন পুরি সহ অন্যান্য সব ভাজাপোড়াতে সাধারণ পরোটার চেয়ে লবন একটু বেশি দিতে হয়। চাইলে এর সাথে ১ চিমটি বেকিং পাউডার দিতে পারেন। না দিলেও সমস্যা নেই।

৫ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশান। এবার একটু একটু করে পানি মিশিয়ে ডো তৈরি করুন। ডো নরম হবে তবে হাতে লেগে যাবে না। এবার ডো টি থালা বা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন।

এবার পুরির ভেতরের পুর বা ফিলিং তৈরির পালা। একটি কড়াই চুলোতে বসিয়ে ৩ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল দিন। তেল গরম হয়ে আসলে সামান্য পরিমান লবন দিন। এবার পেয়াজ কুঁচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভাজুন। চুলোর আঁচ কমিয়ে দিন। এবার এক এক করে হলুদ গুড়া, জিরা গুড়া, মসুর ডাল ও কাঁচা মরিচ কুচিঁ দিয়ে ভালোভাবে মেশান। পানি ও পরিমান মতো লবন দিয়ে মধ্যম আঁচে রান্না করুন। পানি খুব বেশি দেওয়া যাবে না কারণ পানি শুকিয়ে ফেলতে হবে। রান্না প্রায় শেষ পর্যায়ে আসলে পানি পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই গোল মরিচের গুড়া এবং পাঁচ ফোড়ন দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। পানি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা হলে শুকনো মরিচ ভেঙে মিশিয়ে ভর্তা করুন। এবার ডো টিকে ছোট ছোট বলের আকারে ভাগ করে নিন। ১৬-২০ টির মত বল হবে। ডালের ফিলিং বা ভর্তাকেও বলের সমান সংখ্যক ভাগে ভাগ করে নিন। এবার একটি বল দুই হাতের তালুতে নিয়ে চাপ দিয়ে চ্যাপ্টা করে নিন। এক ভাগ ডালের পুর এর মাঝখানে নিয়ে চারদিক থেকে টেনে ডো এর মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে দিন। খেয়াল রাখবেন, ভালভাবে বন্ধ না হলে বেলার সময় পুরি ফেটে ভেতরের ফিলিং বেরিয়ে যাবে।

এবার পুরি ভাজার জন্য একটি কড়াইয়ে পরিমান মতো সয়াবিন তেল ঢেলে চুলোতে মধ্যম আঁচে বসিয়ে দিন। এবার রুটি বানানোর পিড়ি ও বেলুনী নিয়ে তাতে ভালোভাবে তেল মাখিয়ে নিন। এক এক করে সবকটি পুরি বেলে ফেলুন। প্রতিটি পুরি বেলা শেষ হলে পরের পুরিটি বেলার আগে বেলুনী ও পিড়িতে হালকা করে তেল মেখে নিবেন। পুরি যাতে বেশি পাতলা বা বেশি মোটা না হয়। বেশি মোটা হলে খেতে ভালো লাগবে না আবার বেশি পাতলা হলে ভাজার সময় ফেটে গিয়ে অতিরিক্ত তেল ঢুকে যাবে। কড়াইয়ের তেল এরই মধ্যে নিশ্চই গরম হয়ে গেছে। এবার এক একটি করে পুরি গরম তেলে ছেড়ে দিন। ফুলে উঠলে উল্টে দিন। দুই পিঠ হালকা বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। এভাবে সবগুলো ভাজা হয়ে গেলে সালাদ, সস বা চাটনির সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার ডালপুরি।

সিঙাড়া তৈরির রেসিপি

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সব ফাস্টফুড গুলোর মধ্যে সিঙাড়া অন্যতম। ছোট -বড় প্রায় সব হোটেলেই সিঙাড়া পাওয়া যায়। তাছাড়া নাশতা হিসেবে সিঙাড়া খেলে পেটও অনেকটা ভরে যায়।

উপকরণ :

১) ময়দা – ৪ কাপ।
২) লবণ – পরিমাণ মতো।
৩) সয়াবিন তেল – পরিমাণ মতো।
৪) পানি – পরিমাণ মতো।
৫) আলু – ১/২ কেজি।
৬) পেয়াজ কুঁচি – ১ কাপ।
৭) জিরা – ১ চা চামচ।
৮) কাঁচামরিচ কুঁচি – ৬ টি।
৯) আদা বাটা – ১ চা চামচ।
১০) রসুন বাটা – ১ চা চামচ।
১১) কালোজিরা – ২ চা চামচ।
১২) শুকনো মরিচ – ৪ টি।
১৩) জিরা গুড়া/ফাঁকি – ২ চা চামচ।
১৪) মরিচ গুড়া/ফাঁকি – ১/৪ চা চামচ।

প্রস্তুতপ্রণালী :

একটি পাত্রে ৪ কাপ ময়দা নিয়ে তাতে পরিমান মতো লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশান। কালোজিরা দিয়েও মিশিয়ে নিন। ৪ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশান। এবার একটু একটু করে পানি দিয়ে মথুন। সিঙাড়ার ডো একটু শক্ত হয়। তাই বেশি পানি মেশাবেন না। ডো তৈরি করা হয়ে গেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।

এবার সিঙাড়ার ভেতরের পুর তৈরি করার পালা। একটি কড়াই চুলোয় বসিয়ে দিন। গরম হয়ে গেলে ৩ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল দিন। তেলে এক চিমটি লবন দিয়ে নাড়ুন। তারপর পেয়াজ কুঁচি ও জিরা দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। হালকা ভাজা হয়ে গেলে ছোট ছোট কিউব করে কাটা সবগুলো আলু দিয়ে দিন। আলু আগে থেকে কেটে রাখলে আপনার জন্য একটু সুবিধা হবে। আলু কড়াইতে ঢেলে দিয়ে এক মিনিট নাড়তে হবে। এবার আলুর সমপরিমাণ পানি দিন। পানি আলুর সমান থাকবে, বেশি হবে না। এবার এক এক করে কাচা মরিচ কুঁচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচ ফাঁকি এবং পরিমান মতো লবন দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে গেলে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা তুলে উপরের আলুগুলো নিচে দিয়ে আবার ঢেকে দিন। কিছুক্ষন পরপর ঢাকনা তুলে দেখবেন পানি কতটুকু আছে। পানি প্রায় শুকিয়ে আসলে ঢাকনা সরিয়ে ফেলুন। জিরা ফাঁকি দিয়ে নাড়ুন। পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে শুকনো মরিচ ভেঙে মিশিয়ে নিন। এবার ফ্যান এর বাতাসে ঠান্ডা করে নিন।

সিঙাড়ার ডো টি নিয়ে ৬ ভাগে ভাগ করে নিন। প্রতিটি ভাগ থেকে ২ টি করে সিঙাড়া হবে। এগুলোকে বলের আকৃতি দিতে হবে। একটি কড়াইয়ে সিঙাড়া ভাজার জন্য একেবারে অল্প আঁচে তেল বসিয়ে দিন। সিঙাড়া তৈরি করতে করতে এরই মাঝে তেল গরম হয়ে যাবে। তাতে সময় বাচবে এবং সুবিধেও হবে।

এবার বেলুনী ও পিড়ি নিয়ে তাতে তেল মেখে নিন। একটি বল নিয়ে রুটির মতো করে বেলে নিন। রুটিটা বেশি পাতলা হবে না এবং রুটির আকার একটু লম্বা হবে। আনেকটা ডিমের মতো। এবার রুটিটাকে মাঝামাঝি ছুড়ি দিয়ে কেটে নিন যাতে ইংরেজি “U” অক্ষরের মতো দুইটা ভাগ হয়। এবার ভাজ করার পালা। অনেকের কাছে সিঙাড়ার ভাজটা সুন্দর না হওয়া মানে পুরো সিঙাড়াটাই খারাপ। ভাজটা যখন খারাপ হয় তখন তারা সিঙাড়া বানানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তবে আমি বলব, দোকানের মতো ভাজ না হলে যে সিঙাড়া হবে না তেমন কিন্তু নয়। এখন দোকানের মতো কিভাবে সিঙাড়া ভাজ করতে হয় চলুন যেনে নেওয়া যাক। এজন্য, কাটা রুটিটার একটি অংশ নিন। যে দিকে ছুরি দিয়ে কাটা হয়েছে সেই দিকটাতে আঙুল দিয়ে পানি মেখে নিন। এবার কাটা দিকটার মাঝখানে ভাজ দিয়ে দুই কোনা মিলিয়ে খিলি বা কোনের মতো করুন। একটি ভাজ আরেকটি ভাজের নিচে দিয়ে ভালোভাবে চেপে লাগিয়ে দিন। তা না হলে ভাজার সময় সিঙাড়া খুলে যাবে। এবার কোনের ভেতরে পুর ভরুন। তারপর রুটির খোলা দিকটায় আঙুল ভিজিয়ে পানি মেখে ভালোভাবে চেপে লাগিয়ে দিন। এভাবে এক এক করে সবগুলো সিঙাড়া বানিয়ে ফেলুন।

গরম হয়ে আসা তেলে এবার সিঙাড়া গুলো ছেড়ে দিন। সিঙাড়া অল্প আঁচে সময় নিয়ে ভাজতে হয়। নাহলে তা পুরে যায়। ভাজার সময় কিছুক্ষন পর পর সিঙাড়াগুলো উল্টে পাল্টে দিবেন। বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। এভাবে সবগুলো ভাজা হয়ে গেলে সালাদ বা সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সিঙাড়া।

পিঁয়াজু তৈরির রেসিপি

মুচমুচে পিঁয়াজু খেতে কার না ভালো লাগে। এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফাস্টফুড। বিকেলের নাস্তা পিঁয়াজু ছাড়া তেমন জমে ওঠে না। বিশেষ করে রমজানের ইফতারে মুড়ি বানানোর জন্য পিঁয়াজুর কোন বিকল্প নেই। এই মুচমুচে পিঁয়াজু কিভাবে তৈরি করতে হয় তা আপনাদের জানাবো।

উপকরণ :

১) মুগ ডাল – ১/২ কাপ।
২) মসুর ডাল – ১/২ কাপ।
৩) বুটের ডাল – ১/২ কাপ।
৪) পেয়াজ কুঁচি – ১ কাপ।
৫) লবন – পরিমাণ মতো।
৬) সয়াবিন তেল – পরিমাণ মতো।
৭) ময়দা – ১ টেবিল চামচ।
৮) কাঁচামরিচ কুঁচি – ৫ টি।
৯) জিরা গুড়া/ফাঁকি – ১ চা চামচ।
১০) হলুদ গুড়া/ফাঁকি – ১/২ চা চামচ।
১১) আদা বাটা – ১/২ চা চামচ।
১২) রসুন বাটা – ১/২ চা চামচ।

প্রস্তুতপ্রণালী :

প্রথমে সবগুলো ডাল একসাথে নিয়ে ধুয়ে ৮-১০ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানো হয়ে গেলে পানি ছেকে নিন। এবার ডালগুলো পাটা তে বেটে নিন। চাইলে ব্লেন্ডারেও করতে পারেন। তবে ডালগুলো দানাদার হবে। মিহি করে বাটার দরকার নেই। এরপর, ডালের সাথে তেল ছাড়া অন্য সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি কড়াইয়ে মধ্যম আঁচে তেল বসিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে ডাল হাতে বা চামচে নিয়ে চ্যাপ্টা করে তেলে ছেড়ে দিন। দুই পিঠ উল্টে পাল্টে হালকা লাল রং এর করে ভেজে নিন। সবগুলো ভাজা হয়ে গেলে আপনার পছন্দমতো পরবেশন করুন মুচমুচে পিঁয়াজু।

আলুর চপ তৈরির রেসিপি

গরম গরম আলুর চপের কথা ভাবতেই জিভে জল এসে যায়। বাড়িতে তৈরি করতে সহজ ও সাশ্রয়ী বলে অনেকের কাছেই এটি অত্যন্ত পছন্দের। আলুর চপ কিভাবে বানাতে হয় চলুন যেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ :

১) আলু – ৪ টি। (মাঝারি আকারের)
২) সয়াবিন তেল – পরিমাণ মতো।
৩) পানি – পরিমাণ মতো।
৪) লবণ – পরিমাণ মতো।
৫) শুকনো মরিচ – ৪টি।
৬) বেসন – ২ কাপ।
৭) হলুদ গুড়া/ফাঁকি – ১/২ চা চামচ।
৮) মরিচ গুড়া/ফাঁকি – ৩/৪ চা চামচ।
৯) পাঁচ ফোড়ন – ১/২ চা চামচ।
১০) বেকিং পাউডার – ১ চিমটি।

প্রস্তুতপ্রণালী :

প্রথমে আলুগুলো সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছিলে নিন। এবার আলু ভালোকরে মথে নিন। এর সাথে লবন এবং শুকনো মরিচ গুড়ো করে মিশিয়ে ভর্তা করে নিন। ভর্তার স্বাদটা দেখে নিবেন। আলুর চপ সাধারনত একটু ঝাল হলেই ভালো লাগে। এখন একটি বাটিতে বেসন নিয়ে তাতে একক এক করে লবন, হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া, পাঁচ ফোড়ন ও বেকিং পাউডার দিয়ে ভালো করে মিশান। মেশানো হয়ে গেলে পানি দিয়ে বেসনের গোলা তৈরি করুন। একটু আঠালো রাখার চেষ্টা করবেন। গোলা পাতলা হয়ে গেলে চপ সুন্দর হবে না। এবার কড়াই চুলোতে বসিয়ে চপ ভাজার জন্য তেল গরম করুন। গরম হয়ে গেলে আলুর ভর্তা ছোট ছোট বলের আকার দিয়ে বেসনের গোলায় চুবিয়ে নিন। এবার গরম তেলে ছেড়ে দিন। মধ্যম আঁচে হালকা লালচে করে ভেজে নিন। সবগুলো ভাজা হয়ে গেলে উপভোগ করুন মজাদার আলুর চপ।

বেগুনী তৈরির রেসিপি

বেগুনী তৈরি করা অত্যন্ত সহজ এবং ঝামেলাহীন। কম সময়ে খুব সহজেই বানানো যায় বলে এটি অনেক জনপ্রিয়। চলুন জেনে নেই কিভাবে পারফেক্ট মুচমুচে বেগুনী বানাতে হয়।

উপকরণ :

১) বেগুন – ২ টি।(লম্বা)
২) লবণ – পরিমাণ মতো।
৩) সয়াবিন তেল – পরিমাণ মতো।
৪) পানি – পরিমাণ মতো।
৫) বেসন – ২.৫ কাপ।
৬) হলুদ গুড়া/ফাঁকি – ১ চা চামচ।
৭) মরিচ গুড়া/ফাঁকি – ৩/৪ চা চামচ।
৮) পাঁচ ফোড়ন – ১/২ চা চামচ।
৯) বেকিং পাউডার – ১ চিমটি।

প্রস্তুতপ্রণালী :

লম্বা বেগুন নিয়ে যথাসম্ভব পাতলা করে কেটে নিন। এরপর সামান্য লবন ও ১/২ চা চামচ হলুদের গুড়া দিয়ে এগুলোকে মাখিয়ে রাখুন। এবার একটি বাটিতে বেসন নিয়ে তার সাথে পরিমান মতো লবন, ১/২ চা চামচ হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া, পাঁচ ফোড়ন ও বেকিং পাউডার ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার পানি দিয়ে আঠালো করে বেসনের গোলা তৈরি করুন। বেশি পাতলা হবে না। এবার কড়াইয়ে মাঝারি আঁচে তেল গরম করে নিন। তারপর বেসনে কেটে রাখা বেগুন গুলো উল্টে পাল্টে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার গরম তেলে এক এক করে সবগুলো বাদামি করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে সালাদ, সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বেগুনী।

ফাস্টফুড খেতে কার না ভালো লাগে। আর পুরি, সিঙাড়া, পিঁয়াজু, আলুর চপ বা বেগুনী হলে তো কথাই নেই। কিন্তু বাইরের এই খাবারগুলো স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। তাই আপনি যদি বাড়িতেই এগুলো তৈরি করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনাকে এই মজাদার খাবারগুলো থেকে বঞ্চিত হতে হয় না। তাই আজকে আমরা এই ৫ টি জনপ্রিয় ফাস্টফুড রেসিপি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। বাসায় অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন। শেয়ার করে অন্যদেরকেও বাড়িতে তৈরি করে খেতে উৎসাহিত করুন।

আপনি এটিও পড়তে পারেন- রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাস বেশিদিন ব্যবহারের উপায়
আপনি এটিও পড়তে পারেন- ডিমের ভাত ভাজা: অতি সহজ কিন্তু দারুন মজার খাবার!

Add Comment

Click here to post a comment

এই সপ্তাহের সর্বাধিক দেখা ভিডিও:

বাংলাদেশীদের জন্য সেরা অ্যাপ

BD MEDIA MATE APP SCREENSHOT

আমাদের ওয়েবসাইটের জনপ্রিয় পোস্টগুলি:

BEST APP FOR US PEOPLE

US MEDIA MATE APP
Don`t copy text!