হাসের ডিম ও মুরগির ডিমের মাঝে কোনটি খেলে বেশি উপকার পাবেন ? শরীরের জন্য কোনটি বেশি ভালো ? কোনটিতে কি পরিমান পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা আমরা এই লেখায় তুলে ধরবো।
আসলে হাসের ডিম ও মুরগির ডিমের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দুটোই প্রায় সমানে সমান। তবে পার্থক্য যে নেই তা বলা যাবেনা। দুইটি আলাদা প্রানীর ডিমে কিছুটা পার্থক্যতো রয়েছেই। তবে তা খুব বেশি নয়। চলুন তাহলে দেখে নেই কোনটিতে কি পরিমান পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এখানে আমরা প্রতি একশো গ্রাম খাদ্য উপযোগি হাস ও মুরগির ডিমে কোন উপাদানগুলো কি পরিমানে রয়েছে তা তুলে ধরছি।
ক্যালরি: ১০০ গ্রাম হাসের ডিমে খাদ্যশক্তি রয়েছে ১৮১ কিলোক্যালরি। আর মুরগির ডিমে খাদ্যশক্তি রয়েছে ১৭৩ কিলোক্যালরি। এখানে হাসের ডিম কিছুটা এগিয়ে।
আমিষ: ১০০ গ্রাম হাসের ডিমে আমিষের পরিমান ১৩.৫ গ্রাম, আর মুরগির ডিমে আমিষের পরিমান ১৩.৩ গ্রাম। এখানেও সামান্য এগিয়ে রয়েছে হাসের ডিম।
চর্বি: হাসের ডিমে চর্বির পরিমান ১৩.৭ গ্রাম । একই পরিমান মুরগির ডিমে চর্বি ১৩.৩ গ্রাম।
ক্যালসিয়াম: প্রতি ১০০ গ্রাম হাসের ডিমে ক্যলসিয়াম রয়েছে ৭০ মিলিগ্রাম। মুরগির ডিমে ক্যলসিয়াম রয়েছে ৬০ মিলিগ্রাম। হাসের ডিম এই ক্ষেত্রেও এগিয়ে।
লৌহ: হাসের ডিমে লৌহ উপাদান রয়েছে ৩ মিলিগ্রাম আর মুরগির ডিমে রয়েছে ২.১ মিলিগ্রাম।
ভিটামিন “এ”: হাসের ডিমে ভিটামিন “এ” ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম অন্যদিকে মুরগির ডিমে ভিটামিন “এ” ২৯৯ মাইক্রোগ্রাম। এই দিকে মুরগির ডিম কিছুটা এগিয়ে রয়েছে।
অতএব সব দিক বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে হাসের ডিম কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। তবে পার্থক্যটা বেশি নয়, খুবই সামান্য। তাই মুরগির ডিমকেও অবহেলা করার সুযোগ নেই। আবার দামের ক্ষেত্রে ধরলে মুরগির ডিম সহজলভ্য এবং দামও কিছুটা কম অন্যদিকে হাসের ডিমের দাম বেশি। যত টাকা দিয়ে ৪টা হাসের ডিম কেনা যাবে তত টাকা দিয়ে ৫টা মুরগির ডিম কেনা যাবে । তাই সবদিক বিবেচনা করে আমি বলবো, পুষ্টিমানের দিক বিচার করলে হাসের ডিম কিছুটা এগিয়ে রয়েছে তবে আমাদের হাস ও মুরগির ডিম দুইটিই খাওয়া উচিত। আপনি একদিন হাসের ডিম, একদিন মুরগির ডিম- এভাবে খেতে পারেন।
Add Comment